ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংকে লেনদেনে নতুন আইন, মিথ্যা তথ্যে জেল-জরিমানা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
ব্যাংকে লেনদেনে নতুন আইন, মিথ্যা তথ্যে জেল-জরিমানা 

ঢাকা: ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, যেসব পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে। খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে।

তবে ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।  

তিনি বলেন, ক্রিপ্টো-কারেন্সি এটার মধ্যে ইনভলভ না। ক্রিপ্টো-কারেন্সি ইস নট এ কারেন্সি। ওটা কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদিত কোনো ট্রানজেকশন না। ডিজিটাল ব্যাংকিং ডাজ নট মিন ক্রিপ্টো-কারেন্সি, এটা খেয়াল রাখতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনের অধীনে বিভিন্ন রকমের অপরাধের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাউকে কোনো কারণে সাসপেন্ড করা হলে তিনি লেনদেন করতে পারবেন না। কিন্তু সে যদি আদেশ ভঙ্গ করে লেনদেন করে তাহলে তাকে এ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে ফি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রিসাইজ করে দেওয়া হয়েছে।  

খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইন করার কারণ নিয়ে তিনি বলেন, পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশনের আন্ডারে করা হতো। এখান দেখা যাচ্ছে যে, এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধিবিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।