ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নওগাঁ: পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী নাসির উদ্দীন ওরফে নান্নুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক এ বি এম গোলাম রসুল এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় নাসির উদ্দীন আদালতের উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি ব্যক্তি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কাশিবাড়ী কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলার কাশিবাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাসির উদ্দীন ওরফে নান্নু সঙ্গে স্বরসতীপুর গ্রামের আব্দুস কুদ্দুসের মেয়ে পারুল আক্তারের বিয়ে হয়। তবে ঘটনার ১০ মাস আগে কাশিবাড়ী কৃষ্ণপুর গ্রামের ময়নুদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তারকে গোপনে বিয়ে করেন নাসির উদ্দীন। পরবর্তীতে পারুল দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানতে পারলে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১২ জুন স্ত্রী পারুলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ হয়েছে বলে লোকজন জানিয়ে দ্রুত মরদেহ দাফনের চেষ্টা করেন।

এদিকে এ ঘটনায় মৃত পারুল আক্তারের মামা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে পারুল আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। পরে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি নাসির উদ্দীন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।