ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ু রক্ষায় উন্নত রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
জলবায়ু রক্ষায় উন্নত রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা প্রয়োজন

ঢাকা: পৃথিবীতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা মনুষ্য সম্প্রদায় ও রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেছি, মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে রক্ষা করার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়। এখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যারা গ্রিন হাউজ গ্যাস বেশি ছড়ায়, তাদের আরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং আইডিইবি আয়োজিত ‘কপ ২৬: প্রাপ্তি ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ মূল্যায়ন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কপ-২৬ কে সফল না বললেও ব্যর্থ বলতে পারি না। আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে কপ মিটিংয়ের আগে কিন্তু সব প্রত্যাশা পূরণ হয় না। কপ-২৬ এর ভালো দিক হচ্ছে, সেখানে কয়েকটা বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপিত হয়েছে। যেমন পৃথিবীর ১৪১টি দেশ বনায়ন বৃদ্ধি এবং কয়লা থেকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে ফেলার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা পৃথিবীতে মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের নিষ্পাপ শিকার, কারণ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনোভাবেই দায়ী নই। গ্রিন হাউজ গ্যাস ছড়ানো উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমরা নগণ্য। অথচ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের শক্তি উৎপাদনের ৪০ শতাংশ সবুজ প্রযুক্তিতে হবে। এটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসে, বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। এটিও খুবই দুঃখজনক যে মুনাফালোভী গোষ্ঠী তেলের চাহিদা যাতে কমে না যায় সেজন্য সবুজ প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও তা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছে না।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-আইডিইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন।

বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা মো. শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক করেন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের পরিচালক হাফিজুল ইসলাম খান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, মো. ফারুক রহমান রুমি, এনসিসিবি ও বিসিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।