ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর ...

বগুড়া: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া পাঁচ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

 

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বিআইআরএস প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বগুড়া ও নওগাঁ জেলার ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখান থেকে সিয়াম (১৩), শাজাহান (২৪), ‌বিজয় (১৪), বেলাল হোসেন (৪৩) ও আব্দুল খা‌লেক (৩৫) নামে ৫ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে।

আগু‌নের সূত্রপাত সম্পর্কে বগুড়া ফায়ার সা‌র্ভিস ও সি‌ভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, কারখানার ফিনিশিং রিসাইক্লিং মেশিন অতিরিক্ত উত্তপ্তের কারণে বিস্ফোরণ (ব্লাস্ট) হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হ‌চ্ছে।

এদিকে, বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতেই একজনের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার পকেটে থাকা মোবাইলের সূত্র ধরে তার মরদেহটি শনাক্ত করা হয়। এছাড়া বুধবার বেলা ১১টায় আরও ৪ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা স্বজনদের কাছ থেকে বর্ণনা জানার পর তাদের সামনে মরদেহগুলো শনাক্তের প্রক্রিয়া করি। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। শনাক্ত প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, একজনের একটা দাঁত ছিল না, একজনের শরীরের শুধুমাত্র নিচের অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সহজেই চেনা যায়, অন্য একজনের শরীরের পোশাকের অবশিষ্টাংশ দেখে শনাক্ত করা হয়। যে কারণে ডিএনএ টেস্ট করে মরদেহ শনাক্তের প্রয়োজন পড়েনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, কারখানাটিতে দুই শিফটটে ৭২ জন শ্রমিক কর্মচারী কাজ করতেন। প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের পাশাপাশি সহকারী শ্রমিক হিসেবে কিশোররাও কাজ করতো এই কারখানায়। ওই কারখানাটি ব্যবসায়ী সোহেল রানা, জিয়াউর হক নাসিম, ইসমাইল হোসেন এবং সান্তাহার পৌর মেয়র সাবেক বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু এই চার জনের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হয়ে আসছিল।

সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন, ৫ মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।