ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশুর সামনে মাকে হত্যা

২২ বছর যেভাবে লুকিয়ে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
২২ বছর যেভাবে লুকিয়ে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদম খান ওরফে রফিক

ঢাকা: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে শিশু সন্তানের সামনে বিধবা মা নুরচান বেগমকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদম খান ওরফে রফিককে ২২ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে আশুলয়ার বাইপাইল এলাকায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৯-এর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আদম খান হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

র‌্যাব জানায়, ১৯৯৯ সালের ৩১ মে আর্থিক লেনদেনের জেরে আদম খান ভিকটিম নুরচান বেগমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৭ জুলাই আদম খানকে মৃত্যুদণ্ডে আদেশ দেন আদালত।

গ্রেফতার আদমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবেরর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১ বছর আগে আদম ভিকটিম নুরচান বেগমের ছেলের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নেন। স্বামীর মৃত্যুর পর নুরচান বেগম পাওনা টাকা চাইলে আদম খান টালবাহানা করে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে নুরচান বেগমকে হত্যা করেন আদম।

হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাম থেকে পালিয়ে সিলেট শহরে সপ্তাহখানেক অবস্থান করেন আদম। এরপর ঢাকার আশুলিয়ায় এসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে ও রফিক নামেই পরিচয় দেন নিজেকে। পরে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে এনআইডি এবং স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরি করেন। একপর্যায়ে ধীরে ধীরে তিনি আশুলিয়ায় স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলেন ও রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তিনি ২২ বছর তিনি গ্রামের বাড়িতে যাননি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
পিএম/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।