ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছয় বছরে পাচার হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
ছয় বছরে পাচার হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা

২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত (২০১৪ সালের হিসাব বাদে) ৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) এ তথ্য দিয়েছে।  

হিসাব অনুযায়ী গড়ে প্রতি বছর পাচার হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে পাচার হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।  

২০১৫ সালের পর থেকে এই সংস্থার কাছে হিসাব দেওয়াই বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের গত ২০১৬ সাল থেকে তথ্য দিতে পারেনি জিএফআই। পণ্যমূল্যের প্রকৃত মূল্য ও ঘোষিত বা দেখানো মূল্যের তারতম্যের ভিত্তিতে জিএফআই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যসব দেশের যত আমদানি-রপ্তানি হয়, তাতে গড়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশের মূল্য ঘোষণায় গড়মিল থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত দুটি প্রক্রিয়ায় অর্থ পাচার হয়েছে। এর মধ্যে আছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির মূল্য বেশি দেখানো (ওভার ইনভয়েসিং) এবং রপ্তানিতে মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং)। দুই প্রক্রিয়ায়ই বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়।  

২০০৯ সালের পর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মূল্য ঘোষণায় গড়মিল দেখিয়ে অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৮৭ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। ২০০৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫২১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৬৮৪ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৮৭৩ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৭৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ২০১৩ সালে ৯৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচার করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  

জিএফআইয়ের প্রতিবেদনে ১৩৪টি উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশের গত ১০ বছরের (২০০৯-২০১৮) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মূল্য ঘোষণার গড়মিল দেখিয়ে কীভাবে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়, সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সে হিসাবে উন্নয়নশীল এই ১৩৪ দেশ থেকে বাণিজ্যের আড়ালে এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি (১ ট্রিলিয়নে ১ লাখ কোটি) ডলার পাচার হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারকরা পণ্য আমদানি-রপ্তানির সময় প্রকৃত মূল্য না দেখিয়ে কমবেশি দেখানোর মাধ্যমে অর্থ পাচার করে। এ সময় সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে চীন থেকে। এরপরই আছে পোল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া ও মালয়েশিয়া।  

প্রতিবেদনে ৩৬টি উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালে ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশ ও ৩৬টি উন্নত অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ব্যবধান চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।