ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: ১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার মুক্ত হয় পাবনা সদর উপজেলা।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ যখন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে তখনও পাবনা শহরে চলছে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ।

১৮ ডিসেম্বর পাবনা হানাদার মুক্ত হওয়ার আগে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে মিত্র বাহিনী পাবনা শহরে মর্টার সেল ও বিমান হামলা চালাতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী চতুর্দিক থেকে পাবনা শহর ঘিরে ফেলে আক্রমণ চালায় হানাদার বাহিনীর ওপর। উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনীর আক্রমণে পাক সেনারা কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং পাবনা ছেড়ে দলে দলে পালিয়ে যায়।

এ সংবাদে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ ঘর ছেড়ে বাড়ির বাইরে এসে উল্লাসে ফেটে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা শহরে এসে সমবেত হতে থাকে। পরে পাবনা কালেক্টরেট ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জেলা প্রশাসকের হিসাব মতে পাক বাহিনীর নির্মমতার সাক্ষী হিসেবে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগর ডাববাগান, করমজা, ধুলাউরি, রুপসী, বাউশগাড়ি, সোনাকান্দ, নাগডেমরা, পাবনা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া, নাজিরপুর, টেবুনিয়া, সুজানগরের সাতবাড়িয়াসহ এ পর্যন্ত ৪১টি গণকবর আবিস্কৃত হয়েছে। জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্জয় পাবনা নামে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহীদদের স্মরণে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।