ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে চলছে কলাবাগান থানাভবন নির্মাণের কাজ। আপাতত মাঠের সামানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।
স্থানীয়রা চায় খেলার মাঠ। আর পুলিশ চায় সেখানে কলাবাগান থানাভবন। এমন পরিস্থিতিতে তেঁতুলতলা মাঠের বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি সভা ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই সভায় ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রির) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগ বা দপ্তরের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে জায়গায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলাবাগান থানার জায়গাটিও একইভাবে বরাদ্দ পেয়েছে।
সূত্র জানায়, আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার মিটিং ডেকেছে। এই মিটিংয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, তা পরে জানানো হবে।
ইট-কংক্রিটের দালানে ঘেরা তেঁতুলতলা এলাকায় এখন কোনো মাঠ নেই। যাও একটি ছিল সেটিও বর্তমানে কলাবাগান থানার দখলে। কোনো মাঠ না থাকায় এলাকার শিশুরা সড়কে খেলাধুলা করছে। কোনো শিশুকেই এই মাঠের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না কলাবাগান থানার পুলিশ। কেউ ঢুকতে চাইলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
এদিকে গত রোববার (২৫ এপ্রিল) শিশুদের তেঁতুলতলা খেলার মাঠ নিয়ে অন্যতম আন্দোলনকারী ও সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংসুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কলাবাগান থানা পুলিশ। তাদের টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় থানা হেফাজতে আটকে রাখা হয়। শিশু পিয়াংসুকে রাখা হয় থানার পুরুষ হাজত খানায়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অভিযোগ নেই।
সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, যুগের পর যুগ ধরে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটিতে খেলাধুলা, জানাজা, ঈদের জামাত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়ে এলেও গত ৩১ জানুয়ারি থেকে পুলিশী বাধায় তা বন্ধ রয়েছে। মাঠের জায়গায় কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণ হবে, সেজন্য ভেতরে খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। রোববার (২৪ এপ্রিল) মাঠের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, কলাবাগান এলাকার একমাত্র মাঠ এই তেঁতুলবাগান। এখানে থানা হলে শিশুরা খেলার জায়গা হারাবে। তাই এখানে থানা ভবন না নির্মাণ করে অন্যত্র করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড