ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

জিএসপি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান স্টিভের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪
জিএসপি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান স্টিভের

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়ে কংগ্রেসে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ফরেন রিলেশন উপকমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবট।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের  প্রভাবশালী  হাফডজন কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।



এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের সবচেয়ে প্রভাবশালী এএফএল সিআইও’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের প্রশ্নোত্তর পর্বেও অংশ নেন তিনি।  

ফরেন রিলেশন উপকমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ চ্যাবটের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে চ্যাবটের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারংবার উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও তৎকালীন বিরোধীদল নির্বাচন বয়কট করে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল অনিবার্য।

বাণিজ্য কুটনীতিতে তোফায়েল আহমেদের এ বৈঠক সম্পর্কে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলানিউজকে জানিয়েছে, কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবট বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়ে কংগ্রেসে তার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

চ্যাবট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে দুই দেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন বলে জানানো হয়।

এরপর বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার জোসেফ ক্রাউলি, হাউজ ফরেন রিলেশন কমিটির র‌্যাংকিং সদস্য ইলিয়ট অ্যাঙ্গেল, জর্জ মিলার, কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং জ্যান সাকোস্কির সমন্বয়ে পাঁচজন কংগ্রেসম্যানের প্যানেলের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ গার্মেন্টস খাতে সরকারের বিভিন্ন প্রশংসনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের নাজুক অবস্থা থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প রফতানিকারক দেশ।

তিনি বলেন, এখাতে শতকরা ৮০ ভাগ শ্রমশক্তি নারী, যারা সামাজিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

ইলিয়ট অ্যাঙ্গেল, জর্জ মিলার, কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং জ্যান সাকোস্কি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ে এবং জোসেফ ক্রাউলি সংশোধিত শ্রম আইনের পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

কংগ্রেসম্যান জর্জ মিলার এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে প্রশংসা করলেও ট্রেড ইউনিয়নে সম্পূর্ণ ভীতিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান, বিজেএমই সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম এবং বোর্ড উপদেষ্টা ড. তৌফিক আলী, বিকেএমই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল মুহিত, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর নাঈম আহমেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ