ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহীদ মিনার নিউজার্সিতে

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহীদ মিনার নিউজার্সিতে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাঙালির মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করছে ‘নিউজার্সি নগর সরকার। ’

শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি জমি এবং  দেড় লাখ ডলারের অনুদানও দিয়েছে নগর সরকারের সংশ্লিষ্ট কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।

 

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে আন্তর্জাতিক  মাতৃভাষা দিবসের  এ স্মারকের নির্মাণ কাজ শনিবার শুরু হয়েছে।

নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন পিটারসন নগরীর মেয়র জো ই টোরেস।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত পিটারসন নগরীতে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য গত কয়েক বছর থেকে চেষ্টা করে আসছিলেন দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখানে নগর কর্তৃপক্ষকে শহীদ মিনার নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে প্র্রবাসীদের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড গ্ল্যাম’।

স্থানীয় কাউন্সিলর মরিসা ডেভিলা বাংলাদেশিদের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের কার্যকর সহযোগিতায় নিয়ে এগিয়ে আসেন। তার সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট কাউন্টি কর্তৃপক্ষ তাদের সরকারি তহবিল থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য দেড় লাখ ডলারের অনুদান দেয় এবং  নগরীর ওপেন স্পেস প্রকল্পের আওতায় জমিও বরাদ্দ দেওয়া হয়।

পিটারসন নগরীর ওয়েস্ট সাইড পার্কের উন্মুক্ত এলাকায় এ শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

নির্মাণ কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে মেয়র জো ই টোরেস বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করার মধ্য দিয়ে প্রতিটি মাতৃভাষাকে সম্মান জানানো হবে।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের  কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত স্থানীয় কাউন্সিলর আকতারুজ্জমান ফয়সল, নগর কর্তৃপক্ষের টি জে বেস্ট, জেমস ব্রুস, কমিউনিটি নেতা কামাল আহমেদ, জুয়েল চৌধুরী, জুবায়ের আহমেদ, শামসুদ্দিন চৌধুরী, আজিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন এবং মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞানী ড. নুরুন্নবী ভাষা আন্দোলনের পেক্ষাপট এবং বাঙালির লড়াই, সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি নারী-পুরুষদের অনেকেই কোদাল হাতে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের সূচনায় অংশ নেন।

নর্থজার্সি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ আগামী চার মাসের মধ্যে শহীদ মিনারটির নির্মাণ কাজ শেষ করবে। নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনে বর্ধিত তহবিল সংগ্রহ করা হবে বলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

তারা আরো জানান, শহীদ মিনার নির্মাণের মতো মহৎ উদ্যোগেও মহল বিশেষ সিটি হলে গিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে আমাদের স্বপ্ন ছিল, পিটারসনে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের। নগর কর্তৃপক্ষের তহবিলে, সব অভিবাসীদের উন্মুক্ত উদ্যানে নির্মিত এ শহীদ মিনার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন বাঙালির অর্জন আর অহংকারকেই তুলে ধরবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ