নিউইয়র্ক: কূটনৈতিক গণ্ডি ছেড়ে এবার বাঙালি অধ্যুষিত কুইন্সে স্থানান্তরিত হচ্ছে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনসুলেট। ম্যানহাটনের ওয়েস্ট ৩৩ স্ট্রিট ছেড়ে নভেম্বরেই নতুন ঠিকানা নেবে কনসুলেট।
তবে এখানেও কনসুলেটের অস্থায়ী কার্যালয় হবে। কনসুলেটের স্থায়ী ঠিকানার জন্য নিজস্ব ভবন কিনতে মাঠে নেমেছেন নতুন কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। ম্যানহাটনে সুবিধামতো জায়গা পেলেই জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মতো কনসুলেটও হবে বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পত্তির উপর।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বাংলানিউজকে শুক্রবার জানান, কুইন্সের লং আইল্যান্ড সিটির নর্দার্ন বুলোভার্ড ও ৩৪ সড়কের সংযোগ স্থানে ৩৪-১৮ ভবনটিতেই হচ্ছে কনসুলেটের নতুন ঠিকানা।
১ নভেম্বরের থেকে দপ্তর চালু হওয়ার কথা থাকলেও নতুন ভবনে কাজ শুরু করতে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।
শামীম আহসান জানান, কনসুলেটের স্থায়ী ঠিকানার জন্য ম্যানহাটনে নিজস্ব ভবন কিনতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। এতে ভাড়ার টাকাতেই বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব একটি সম্পদ হবে নিউইয়র্কে।
নতুন কনসুলেট ভবন সম্পর্কে তিনি আরো জানান, কুইন্সের নতুন কার্যালয়টি সুবিশাল পরিসরের। ৭ হাজার স্কয়ার ফুটের এই কার্যালয়টিতে দাপ্তরিক কাজকর্মের জায়গা ছাড়াও প্রশস্থ একটি হল রুমও পাওয়া যাচ্ছে।
ভবনের প্রথম ফ্লোরেই কনসুলেট কার্যালয় হওয়ায় গ্রাহকদের লিফট ব্যবহারের ঝামেলায় পড়তে হবে না। আর অনেক বেশি সংখ্যক গ্রাহকের যাতায়াত নিয়েও ভবন মালিকের কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে, গাড়ী পাকিংয়ের সুবিধাবঞ্চিত ও ব্যস্ততম ম্যানহাটনের যানজটের ধকল আর পোহাতে হবে না প্রবাসী বাঙালিদের।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ম্যানহাটনের যে ভবনটিতে কনসুলেট কার্যালয় রয়েছে সেখানে অধিক সংখ্যক প্রবাসীদের যাতায়াতের ব্যাপারে ভবন কর্তৃপক্ষের বিধি-নিষেধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশ কনসুলেটকে।
এছাড়া স্থান সংকুলান এবং লোকবলের অভাবে সেবার মান নিয়েও প্রবাসীদের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৪