ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার।
সোমবার নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়ার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, সেই ৩০ লাখ শহীদের আত্মা এবং স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে যিনি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেই মহিয়সী নারী শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আত্মা এত বছর পর কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। কারণ, বাংলাদেশে আজ একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে।
বিবৃতিতে আক্ষেপ করে বলা হয়, যদিও একাত্তরের ঘাতক দালালদের শিরোমনি গোলাম আযম শাস্তি ভোগ না করেই বয়সের কারণেই সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় মারা গেছেন। তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো গেল না বলে দুঃখবোধ থেকেই যাবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের নেতারা বলেন, প্রতিটি যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো উচিত, যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ কোনোদিন এই ধরনের ঘৃণিত অপরাধ করার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস না পায়।
সম্প্রতি, বদর বাহিনীর প্রধান নিজামীর ফাঁসির রায় হওয়াতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা ড. নুরুন নবী, সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সভাপতি ফাহিম রেজা নুর ও সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া এক বিবৃতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে যে রায় ঘোষিত হয়েছে, তা দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান।
নেতারা আরো জানান, চট্টগ্রামের আরেক ঘাতক ও জামায়াতের টাকার জোগান দাতা কুখ্যাত খুনি মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় হওয়াতে জনমনে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। আর তাই এখানেই সার্থক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে গড়া বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর হয়ে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছে। তাই, তারা একাত্তের ঘাতকদের বিচারের জন্য পাইপলাইনে থাকা নরঘাতক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কামারুজ্জামানসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শিগগিরই শেষ করে বিচারের রায় ঘোষণা ও দ্রুত বাস্তবায়ন করার আশা প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৪