নিউইয়র্ক : “যুক্তরাষ্ট্র সরকার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট বলেছে, এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশেই গণতান্ত্রিক শাসন চলছে।
” মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সার্ক সম্মেলন সম্পর্কে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা বিসওয়াল দেশাইয়ের বিবৃতিতে একথা উল্লেখ করেছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের উদাহরণ টেনে ইঙ্গিতে (বাংলাদেশের) রাজনীতিবিদদের সমঝোতা পৌঁছার ব্যর্থতার সমালোচনাও করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি ও পানি মুদ্রা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে নিশা বিসওয়ার দেশাইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “- অ্যান্ড ইনডিড ইট ইজ আ টাইম অব গ্রেট হোপ অ্যান্ড অপরচ্যুনিটি ইন দ্য রিজিওন। সাউথ এশিয়ানস ক্যান বি জাস্টিফায়েবলি প্রাউড দ্যাট এভরি কান্ট্রি ইন দেয়ার রিজিওন ইজ এ ডেমোক্রেসি। ” (And indeed, it is a time of great hope and opportunity in the region. South Asians can be justifiably proud that every country in their region is a democracy)’.
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত ১৮ মাসে এ-অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ অতি সম্প্রতি আফগানিস্তানে নির্বাচনে সেদেশের রাজনীতিবিদগণ ‘কম্প্রমাইজ’ বা সমঝোতার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জণগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি ঐকমতের সরকার গঠন করেছেন । (“ইন দ্য পাস্ট এইটিন মান্থস, এভরি কান্ট্রি ইন দ্য রিজিওন হ্যাজ হেল্ড ইলেকশনস, উইথ দ্য মোস্ট রিসেন্ট বিইং আফগানিস্তান, হোয়্যার পলিটিক্যাল লিডারজ শোড দ্য কারেজ টু কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড ক্রিয়েট এ ইউনিটি গভর্নমেন্ট ফোকাসড অন এনহ্যান্সিং স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ফর দ্য আফগান পিপল)। (Ô In the past 18 months, every country in the region has held elections, with the most recent being Afghanistan, where political leaders showed the courage to compromise and create a unity-government focused on enhancing stability and security for the Afghan people)’..
দক্ষিণ এশিয়া ব্যবসা ও ট্রানজিটের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে যেখানে দ্রব্যাদি এবং নাগরিকরা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে, জ্বালানি ব্যবসা ও পানি বণ্টন এই যোগাযোগের ‘কারেন্সি’ বা মুদ্রা’তে পরিণত হবে--এঅঞ্চলের সবদেশের জন্যই এটা সময়ের দাবী।
এছাড়া আগামী ২০৬০ সালে এই অঞ্চল পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে। আর তাই ‘শান্তি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সার্ক সম্মেলনের এ উদ্যোগ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োচিত আর কিছু হতে পারে না। ”
এছাড়া বিবৃতিতে আরো আশা করা হয়, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমুলক এবং ব্যাপকভিত্তিক (কম্প্রেহেনসিভ) সরকারের অর্থনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে সার্ক সদস্যরা আরো কার্যকরভাবে উগ্রবাদী শক্তি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি সার্ক আগামীতে দক্ষিণ এশীয় জণগণের জন্য আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪