নিউইয়র্ক: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৪৫তম বিজয় দিবসের উদযাপনে বক্তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বিজয়ের ইতিহাস গৌরবগাঁথা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের সূচনা হয়।
তাতে মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সূদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, বাঙালির বিজয় অর্জনের ইতিহাস, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।
তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা অত্যন্ত সুনিপুনভাবে, ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বই ছিল বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার মূলমন্ত্র।
এখন বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের পিছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী, দূরদর্শী ও জনমূখী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি প্রবাসী বাঙালিদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান।
প্রবাসে বাংলাদেশিদের নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও ব্যাপকভাবে জানতে এবং এরই আলোকে ভবিষৎ বাংলাদেশ গড়ার পথে অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী।
মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পরিম-লে একটি মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো: শামীম আহসান, এনডিসি বাংলাদেশকে একটি দৃশ্যমান শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আক্তার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ; যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রদীপ রঞ্জন কর; মুক্তিযোদ্ধা ড.আব্দুল বাতেন, আব্দুল মুকিত চৌধুরী ও খুরশীদ আনোয়ার বাবলু; যুদ্ধাহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ডা: মাসুদুল হাসান; যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চান্দু; বিশিষ্ট কলামিস্ট বেলাল বেগসহ বিশিষ্ট প্রবাসী বাঙালী।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এমএমকে