অভিবাসন নীতি সংস্কারে ট্রাম্পের ঘোষণায় এ ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুলের সঞ্চালনায় এ সেমিনারে আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার স্বাগত বক্তব্য দেন। মূল বক্তব্য রাখেন অভিবাসন বিষয়ক আমেরিকান অ্যাটর্নি বেরি সিলভারউইগ।
আলোচনায় অংশ নেন সিপিএ ইয়াকুব এ খান, অ্যাটর্নি এলেন কাস, মো. শাহ নেওয়াজ, অ্যাটর্নি মার্ক লিভিংটন, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক, বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট শামসুল হক প্রমুখ। এতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেসময়কার বাস্তবতায় অনেক বাংলাদেশি নিবন্ধনের ভয়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরে অনেক চেষ্টা করেও তারা আর আমেরিকায় ঢুকতে পারেননি। এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতেও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
আইনজীবীরা বলেন, কোনো বাংলাদেশি যেন নিবন্ধনের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে না যান। তারা যেন যেকোনো বিষয়েই আইনি পরামর্শ নেন। নিউইয়র্ক গভর্নর এরইমধ্যে বলেছেন, কোনো অভিবাসীকে বের করে দিতে হলে তাকে যেন হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, এই সেমিনারের পরই পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শপথানুষ্ঠানের পর ট্রাম্প বহুল আলোচিত শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। তাতে তিনি সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইয়েমেনে, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান থেকে আগামী ৩ মাস ভিজিটর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। সিরিয়ার শরণার্থীদের ওপর আরোপ করেছেন অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা। আর যেকোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন ৪ মাসের জন্য।
তবে এরইমধ্যে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরোধিতা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিবাসন সংস্কার বিষয়ক এই আদেশ বাস্তবায়নে ট্রাম্পকে বেগ পেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
এইচএ/