‘ভার্জিনিয়া কাবাব কিং’-এ মিলছে বাঙালি ভোজন রসিকদের জন্য সব ধরনের বাংলা খাবার। কাবাব কিংয়ের অবস্থান ৫৭০১-সি কলম্বিয়া পাইক ফলস চার্চের পাশে।
ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ডের সব বাংলাদেশি ভোজন রসিকদের প্রিয় স্থান এখন কাবাব কিং। বাংলাদেশ থেকে মন্ত্রী-এমপি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ সবাই এখানেই ছুটে আসেন। শুধু বাংলাদেশি নয়; ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার মুসলিম দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা হালাল খাবার খেতে ছুটে আসেন এখানে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী সাংস্কৃতি ফোরামের সভাপতি শাহিদা পারভীন লিপি পরিবার নিয়ে রাতের খাবার খেতে এসেছেন কাবাব কিংয়ে। লিপি বলেন, অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে বাসায় রাতে রান্না করা হয় না। তাই ঘরের খাবারের স্বাদ নিতে প্রায়ই পরিবার নিয়ে কিং কাবাবে ছুটে আসি।
২০১৭ সালে কাবাব কিং প্রতিষ্ঠা করেন নোয়াখালীর মোহাম্মদ হোসেন। ২০০৭ সালে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ’তে পড়া অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমান হোসেন। এখন শুধু কাবাব কিং নয় এর পাশাপাশি সুপার শপ ও সেল ফোনসহ ১৭টা দোকান আছে তার। এসব দোকানে প্রায় ৭৫ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে।
কাবাব কিং প্রসঙ্গে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলা খাবার খুব সহজে পাওয়া যায় না। তবে সাদা ভাত, মাছ, মাংস, ডালসহ দুই শতাধিক পদের বাংলা খাবার আমার এখানে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে ওয়াশিংটনে মন্ত্রী-এমপিসহ সবাই কাবাব কিংয়ে আসেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির বিয়ে, জন্মদিন, আকিকাসহ সব ধরনের অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, কাবাব কিংয়ের দূরত্ব ওয়াশিংটন থেকে পাঁচ মাইল ও মেরিল্যান্ড থেকে ১০ মাইল। যুক্তরাষ্ট্রের তিন রাজ্যের মধ্যভাগে হওয়ায় সব বাংলাদেশি এখানে ছুটে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ