ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

৪৮ বছর ধরে কবিতা-পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন গফফার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
৪৮ বছর ধরে কবিতা-পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন গফফার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ৪৮ বছর ধরে কবিতা ও পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন মো. গফফার হোসেন (৬০)। এখনো তাকে দেখা যায় বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে পত্রিকা বিক্রি করতে।

প্রতিদিন সকাল হলেই স্থানীয় এজেন্টের কাছ থেকে পত্রিকা কিনে বিক্রি করতে বের হয়ে যান গফফার হোসেন। তার বাড়ি উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামে। তার চার ছেলের জনক তিনি।

বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২) স্থানীয় দিঘিরপাড় বাজারে বিদ্যুতের মালামাল বিক্রি করেন। মেজ ছেলে মাওলানা, মধুখালী ভূষনা মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। আর বাকি দুই ছেলে বোয়ালমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও কাদিরদি ডিগ্রি কলেজে অনার্স পড়ছে। তারা বোয়ালমারীতে একটি এটিএম বুথে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি করে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) থানা রোডে কথা হয় গফফার হোসেনের সঙ্গে। এসময় তিনি জানান, মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৭৪ সাল থেকে কবিতা বিক্রি শুরু করেন। সে সময় তিনি নগরকান্দা, মধুখালী, সালথা, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কবিতা বিক্রি করতেন। তখন কবিতা বিক্রি করে মাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা আয় করতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে কবিতার পাশাপাশি স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা পত্রিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কোরবান আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিক্রি শুরু করেন। তখনো তিনি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করতেন কবিতা ও পত্রিকা বিক্রি করে। ওই টাকা দিয়ে চার ছেলের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি করে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করি। এখন আর আগের মতো বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারি না। শরীর অনেক অসুস্থ, বয়সও অনেক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কষ্ট করে হলেও চারটি ছেলেকে পড়ালেখা শিখাতে পেরেছি। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। বাকি তিন ভাই কৃষক। তাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet