দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্লেন তখন প্রায় ১১ হাজার ফুট উচ্চতায়। আর ঠিক তখন ককপিটের ভেতরে একটি সাপ চোখে পড়ে পাইলটের।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার সকালে রুডলফ ইরাসমাস ওরচেস্টার থেকে নেলসপ্রুট যাচ্ছিলেন। চার যাত্রী নিয়ে ছোট একটি প্লেন নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
টাইমলাইভ ওয়েবসাইটকে ইরাসমাস বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছি। এতটা কঠিন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি। যখন তাঁর চোখে সাপটি পড়ে, সেই সময়ে প্লেনটি ওয়েলকমের বিমানবন্দরের কাছাকাছি ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ইরাসমাস জোহানেসবার্গের কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন।
‘সোমবার সকালে যখন আমরা প্রিফ্লাইট কার্যক্রম করছিলাম, তখনই ওরচেস্টার এয়ারফিল্ডের লোকেরা আমাদের এই সাপটার বিষয়ে জানিয়েছিল। তারা জানান, রোববার বিকেলে প্লেনের ডানার ঠিক নিচে একটি কেপ কোবরা পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। প্রথমে নিজেরাই সাপটি ধরার চেষ্টা করেছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সাপটি পালিয়ে যায়। ইঞ্জিন কাউলিংসের ভেতরে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এদিকে বিমানবন্দরের কর্মীরা যখন কাউলিং খুলে দেখেন, তখন সাপের কোনো হদিশ মেলেনি। তারা তাই ধরেই নিয়েছিলেন যে, সাপটি পালিয়ে গিয়েছে,’ বলেন ইরাসমাস।
কিন্তু সেই সাপ যে তারই প্লেনের ভেতরে ঢুকে বসে থাকবে, তা তিনি কল্পনাও করেননি! এই পাইলট বলেন, ‘আমি সাধারণত সব সময়ে সঙ্গে একটি জলের বোতল রাখি। প্লেনের পাশের দেয়ালের দিকে, কোমরের কাছে বোতলটা ঠেসে রাখি। সেদিন বিমান চালানোর সময়ে হঠাৎ কোমরের কাছে কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম বোতলের জন্য। তারপর কী মনে হলো নিচের দিকে তাকালাম। দেখলাম আমার সিটের নিচে একটি সাপ ঢুকে যাচ্ছে। ’
রুডলফ ইরাসমাস আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। যাত্রীদের বলব কিনা ভাবছিলাম। বললেই তারা আতঙ্কিত হয়ে যাবেন। কিন্তু বলতে তো হতোই। আমি শুধু বললাম, একটি সমস্যা হয়েছে। বিমানের ভেতরে একটি সাপ রয়েছে। আমার আসনের নিচে। আমাদের যতটা দ্রুত সম্ভব বিমানটি অবতরণ করাতে হবে। ’
অবশেষে প্লেনটি অবতরণের পর বহু ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সাপটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
এমজেএফ