‘সমুদ্রের রেইনফরেস্ট’ নামে পরিচিত প্রবালদ্বীপও এখন চিকিৎসার জন্য সমুদ্রতলের ওষুধের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিচিত্র রং ও জীবনের সমাহার প্রবালদ্বীপগুলোর অবস্থান আমাদের গ্রহের শূন্য দশমিক এক শতাংশেরও কম স্থানে।
ফলে সামুদ্রিক প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রবালপ্রাচীর একটি জনাকীর্ণ স্থান। সাধ্যমতো খাদ্য ও আবাসস্থলের জন্য তাই প্রাণীগুলোকে সাগরতলে ডুবো যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হতে হয়। তারা প্রবালপ্রাচীরের নানা রাসায়নিক প্রতিরক্ষা যৌগগুলোকে নিজেদের শিকারির হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহার করে।
এই ক্ষমতাশালী অস্ত্রটিকে এখন নানা রোগের নতুন ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যানসার, বাত, আলজেইমারর্স ও ভাইরাসজনিত অসুখের চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে সেগুলোকে।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে হাজারো যৌগের নমুনা চিহ্নিত ও সংগ্রহ করেছেন এবং বাজারে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে।
কিন্তু এই সমুদ্রতলের ওষুধ প্রবালদ্বীপটিকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ঝুঁকিতে ফেলেছে।
চলচ্চিত্র পরিবেশগত অর্থনীতিবিদ ড. তিস্তা প্যাটারসনের নেতৃত্বে প্রকৃতিবিজ্ঞানী ড. সানজায়ন ও সামুদ্রিক সংরক্ষণ জীববিজ্ঞানী প্রফেসর ক্যালাম রবার্টসের সমন্বয়ে বিজ্ঞানী দলটি চিকিত্সা বিজ্ঞানে প্রবালদ্বীপের এ অবদানকে কাজে লাগাচ্ছেন। এ আনন্দময় বাস্তুতন্ত্র সমৃদ্ধ জীবনের ঐশ্বর্য প্রকাশ করবে উল্লেখ করে তারা একে সমর্থনও করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এএসআর