খাদ্যে ভেজাল। খাদ্যে কার্বাইড, ফরমালিন।
তাই রবি ঠাকুরের গানের মতো ‘আমি জেনে-শুনে বিষ করেছি পান’ একথা মেনে নিয়ে প্রতিদিন খাদ্য নামের বিষ পান করে যেতেই হবে আমাদের। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তাহীন সমাজে। কিন্তু এবার উন্নত দেশে বসে ফল খেলেও দুঃসংবাদ মানুষের পিছু ছাড়বে না। দূষণ থেকে নিস্তার মিললেও এবার আপদ তেজষ্ক্রিয়তা।
হ্যাঁ, কলা ও আভোকাডোর মতো পুষ্টিকর, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যপ্রদ ফলও তেজষ্ক্রিয়তা থেকে মুক্ত নয়। কলা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ আর অ্যাভোকাডো প্রচুর পরিমাণে উপকারী প্যান্টোথেটিক এসিড ও ডায়েটারি ফাইবার (আঁশ) সমৃদ্ধ ফল বলে বিবেচিত হলেও, এগুলোও তেজষ্ক্রিয়তাদুষ্ট।
প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ তাহলে খাবেটা কী?
এই দুঃসংবাদটি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল পুষ্টিবিজ্ঞানী। তারা বলেছেন, আমরা যে ফলই খাই, তেজষ্ক্রিয়তা নামের আপদ থেকে মুক্ত নয় সেসবও। এমনকি তা যদি হয় সুস্বাদু ও উপকারী বলে বিবেচিত কলা ও অ্যাভোকাডোর মতো ফলও।
মানে প্রতিদিনই পুষ্টিকর ফলের মাধ্যমে হলেও তেজষ্ক্রিয়তা আমাদের শরীরে ঢুকছে। তবে এ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই- এমন আশার বাণীও শুনিয়েছেন তারা।
কেননা তারা চান না মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে ফলমূল খাওয়া ছেড়ে দিক। বরং এটা জানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষ যেনো তেজষ্ক্রিয়তা কথা মাথায় রেখে ফলমূল খায়। যেনো তা সহনীয় মাত্রার মধ্যে থাকে। "We did this study because understanding how much radiation comes off of common household items helps place radiation readings in context...’’ কথাগুলো বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবার্ট হেইস।
তিনি এও বলেছেন, আমরা ঘরে যেসব ফলমূল খাই তাতে তেজষ্ক্রিয়তার মাত্রা খুবই কম। সুতরাং আতঙ্কিত না হয়ে কলা, অ্যাভোকাডো বা অন্যসব ফলমূল খাওয়া চালিয়ে গেলে ক্ষতি নেই। তবে খাওয়াটা যেনো তেজষ্ক্রিয়তার সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
জেএম/এসএনএস