ভিক্টোরিয়া ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাশিতের চেয়েও বেশি বেড়ে গেছে ইঁদুরের সংখ্যা। সিএসআইআরও বলেছে, ফসলি জমিগুলোতে প্রতি হেক্টরে এক হাজারেরও বেশি ইঁদুর (একর প্রতি ৪০৫টি) বাস করছে।
গবেষক স্টিভ হেনরি বলেন, প্রতি হেক্টরে পাঁচটি ইঁদুর থাকাকে স্বাভাবিক বলে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান সংখ্যা সে তুলনায় ভয়াবহ। এ অবস্থা এক একটি ইঁদুরকে প্লেগ জীবানুবাহী করে গড়ে তুলেছে। ইঁদুরের এ আধিক্য মাসখানেকের মধ্যে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে।
‘আমরা এ বছর রেকর্ড ফসল পেয়েছি। এ অবস্থাও ইঁদুরদের জন্যও সত্যিই অনুকূল ছিল। ফলে এবারের বসন্ত ভয়ঙ্কর ছিল’- বলেন হেনরি।
সিএসআইআরও আরও বলছে, নিয়মিত অস্ট্রেলিয়ার শস্য অঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রদেশে ইঁদুরেরা প্রায়ই মহামারী ডেকে আনছে।
সরকারের তথ্যমতে, উর্বর অঞ্চল ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মারে ডার্লিং এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে। কিন্তু ইঁদুরের প্রাদুর্ভাব কৃষকদের ব্যয়বহুল টোপ কিনতে এবং প্রায়ই পুনরায় ফসলের বীজ বপনে বাধ্য করে। ফলে তারা গুরুতর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যান।
হেনরি বলেন, এছাড়াও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে ইঁদুরেরা। কারণ, তারা মানুষের ঘরেও আক্রমণ করে, চারপাশেও সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। যে বাড়িতে একটি ইঁদুর আছে, সে বাড়িতে বা শহরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আশাভঙ্গের কারণ হয়ে দাড়ায় সেটি। মানুষ ইঁদুরকে থামাতে তাদের বাড়ির প্রতিটি অংশকে প্রতিরোধকে আবদ্ধ করে ফেলতেও বাধ্য হন।
ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে ইঁদুরেরা। তাদের কয়েকটি প্রজাতি প্রাকৃতিক শিকারি হয়। তবে আদিবাসী বন্যপ্রাণীর কাছ থেকে সামান্য প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এএসআর