প্রথমবার পাপুয়া নিউগিনির সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে এ মাছটির দেখা মেলে। এবার অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূল থেকে সমুদ্রের প্রায় আড়াই মাইল ভেতরে এ মাছটি পাওয়া যায়।
দেখলেই মনে হবে মাছটির কোন মুখাকৃতি নেই। এমনকি চোখও নেই। তবে খাদ্য গ্রহণের জন্য শরীরের নিচের অংশে একটি ছিদ্রপথ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকার পরিচালিত সমুদ্র গবেষক দলটি গত এক মাস ধরে নেট, তরঙ্গ যন্ত্র এবং গভীর সমুদ্রের ক্যামেরা নিয়ে অভিযান চালিয়ে মুখবিহীন মাছ খুঁজে পান।
এছাড়াও তারা বিলুপ্তপ্রায় উজ্জ্বল লাল কাঁটাময় রক কাকড়া, কফিন মাছ, অন্ধ সামুদ্রিক মাকড়সা ও গভীর সামুদ্রিক ঈল খুঁজে পান।
গত ৩ মে (২০১৭) থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে এরইমধ্যে প্রায় এক হাজার বিভিন্ন সামুদ্রিক নমুনা তারা সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
দলটির প্রধান গবেষক ‘টিম ও’হারা’ বলেন, আমাদের টার্গেট অনুসারে আমরা মাত্র এক-তৃতীয়াংশ আবিষ্কার করতে পেরেছি। গভীর সমুদ্রের মাছগুলো নরম ও জেলীর মত এবং বেশিরভাগেরই চোখ নেই। কিছু কিছু মাছ আছে বিশেষ আলো নিক্ষেপ করে।
মুখবিহীন মাছটির মাথার উপর দুটো দাগের মত দেখা যায়, মনে করা হচ্ছে এটি নাসারন্ধ্র। যা মনে করিয়ে দেয় ‘ব্যারিলি’ মাছের কথা। গভীর সমুদ্রের এ মাছটিরও নাসিকা দেখতে চোখের মত।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৭
মাসুদ আজীম/জেডএম