মোদির সেই বক্তব্যে পুরো বিশ্ব আকৃষ্ট হয়। ‘চা ওয়ালার ছেলে’ নির্বাচনে জিতে বছর তিনেক ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন।
তার সেই চা স্টল স্বভাবতই এখন ভারতের তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ-কৌতুহলের জায়গা। প্রধানমন্ত্রী মোদির শৈশবের সংগ্রামের সেই স্মৃতিকে জাগিয়ে রাখতে ওই চা দোকানটিকেই এখন পর্যটনের তীর্থস্থান বানাতে যাচ্ছে ভারতের সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
স্টলটির অবস্থান মোদির জন্মরাজ্য গুজরাটের মেহসানা জেলার বড়নগর রেলওয়ে স্টেশনে। স্টেশনটিতে একটিমাত্র ফ্লাটফর্ম। পরিবারে ছয় ভাই বোনের মধ্যে মোদিই শৈশবে চা দোকানে বাবা দামোরদাস মুলচান্দকে বেশি সময় দিতেন।
রাজনীতিতে নাম দেওয়ার পর মোদি বড়নগর ছেড়ে গুজরাটে ওঠেন। হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার ব্যস্ততার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অব্যবহারে মরচে পড়ে যায় টিন শেডের সেই স্টলে।
কিন্তু ভারতের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামের গল্পটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটিকে সংস্কার করে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ অনুভব করে। সেজন্য নেওয়া হয়েছে ১৫ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প।
এ বিষয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেন, চা দোকানটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা চিন্তা করে তা আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা চা দোকানটিকে পুনরায় স্থাপন করতে চাই এবং সেটাকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পর্যটন মানচিত্রে আমরা বড়নগরকে স্থান করে দিতে চাই।
ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর অলক পান্ডে বলেন, ২৫ হাজার অধিবাসীর বড়নগর শহরে ৭ থেকে ৮টি আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে। ট্যুরিজম পরিকল্পনার আওতায় এগুলোর উন্নয়ন করা হবে। মোদির সেই চা স্টলসহ বড়নগরকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় বানাতে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
পান্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, পর্যটন কেন্দ্রের জন্য কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তা সম্পন্ন হবে। এটি ভারতীয় নাগরিকসহ সারা বিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠবে বলেও মনে করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/