এমন সাত অজানা পাঠকের জন্য:
জার্মানির নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান:
আইনস্টাইন মাত্র ১৬ বছর বয়সে জার্মানির নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। মূলত জার্মান জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ক্লাসের একমাত্র নারী শিক্ষার্থীকে বিয়ে:
আইনস্টাইনের স্ত্রী মিলেভার ছিলেন জুরিখ পলিটেকনিকে তার সেকশনের একমাত্র নারী শিক্ষার্থী। মিলেভার ছিলেন একজন সম্ভাবনাময়ী পদার্থবিদ। কিন্তু আইনস্টাইনের সঙ্গে বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তিনি ক্যারিয়ার দূরে ঠেলে দেন।
এফবিআই-এর সন্দেহ তালিকায় নাম:
১৯৩৩ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর পর থেকে এফবিআই আইনস্টাইনের উপর নজরদারি শুরু করে। তাকে একজন সোভিয়েত এজেন্ট হিসেবে সন্দেহ করেছিল এফবিআই। মূলত আইনস্টাইনের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল এরকম সন্দেহের কারণ।
অবৈধ সন্তান:
আইনস্টাইনের সঙ্গে বিয়ের আগেই মিলেভার গর্ভে একটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়। ইতিহাসবিদের মতে শিশুটি হয়তো অল্প বয়সেই মারা গিয়েছিল অথবা তাকে অন্য কোনো পরিবারে দত্তক দেওয়া হয়েছিল।
ডিভোর্সের জন্য স্ত্রীকে নোবেল প্রাইজ মানি প্রদান:
মিলেভাকে ডিভোর্সের জন্য রাজি করাতে আইনস্টাইন তার নোবেল প্রাইজ মানির প্রায় পুরোটাই স্ত্রীকে দেন। তখন নোবেল প্রাইজ মানি হিসেবে ৩২ হাজার ২৫০ ডলার দেওয়া হতো, যা কোনো প্রফেসরের বার্ষিক বেতনের প্রায় দশ গুণ।
খালাতো বোনকে বিয়ে:
মিলেভার সঙ্গে ডিভোর্সের পর আইনস্টাই বিয়ে করেন এলসাকে। এলসা ছিলেন আইনস্টাইনের আপন খালাতো বোন।
রাশিয়ান গুপ্তচরের সঙ্গে প্রণয়:
১৯৩৫ সালে আইনস্টাইনের সঙ্গে পরিচয় হয় মারগারেট কোনেনকোভার। অচিরেই তা প্রণয়ে রূপ নেয়। ১৯৯৮ সালে নয়টি প্রেমপত্র নিলামে তোলা হয়, যা ১৯৪৫ ও ১৯৪৬ সালে আইনস্টাইন ও কোনেনকোভা আদান-প্রদান করেছিলেন। একজন রাশিয়ান গুপ্তচরের লেখা বই থেকে জানা যায় কোনেনকোভা আসলে ছিলেন একজন রাশিয়ান এজেন্ট। তবে এ বিষয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ