তবে পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করায় পর্যটকদের ভিড়ে কখনোই বিচ্ছিন্নতা বা নিঃসঙ্গতা বোধ করেন না প্রত্যন্ত ডির্ক হার্টজের উত্তরাধিকারসূত্রে বর্তমান মালিক ওয়ার্ডল পরিবার।
১৬১৬ সালের ২৫ অক্টোবর দ্বীপটিকে আবিষ্কার করেন পথভ্রষ্ট ডাচ নাবিক ডির্ক হার্টজ, যার নামেই এটির নামকরণ।
চার শতাব্দী পরে আজকের ডার্ক হার্টজের কায়রান-টোরি দম্পতির গড়া পর্যটন কেন্দ্রের বিস্তৃতি দ্বীপটিসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত জুড়ে। পর্যটকদের পরিদর্শনে সহায়তায় তারা একটি নৌ-যান পরিচালনা করেন, যেটি তাদের মূল ভূ-খণ্ডে যাতায়াতসহ যাবতীয় কাজকর্মেরও বাহন।
কায়রান ১৯৯৩ সালে ডার্ক হার্টজে এসেছিলেন তার পিতামহ থমাস ওয়ারডেলের ভেড়ার খামার পরিচালনার কাজে। ১৯৬৯ সালে দ্বীপটি কিনে খামারটি গড়ে তোলেন থমাস। মেলবোর্ন থেকে আসা টোরি ছিলেন সেটির রাধুনি। তবে টোরি আর ফিরে যাননি, কায়রানের প্রেমে পড়ে বিয়ে করে এখানেই সংসার পাতেন। নতুন বাড়ি গড়ে এখানে বসবাস শুরুর পর তাদের তিন সন্তানের জন্মও এখানে।
কায়রান-টোরি দম্পতি পর্যটকদের জন্য তাদের দূরবর্তী প্রাচীন কোয়ার্টারকে ওয়ার্ডল’স নামে ছয়টি কক্ষের ইকো লজে পরিণত করেছেন। এখানকার অভিবাসী তিমি, গার্ডিং কুকুর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের বিরল সামুদ্রিক কচ্ছপ দেখে আনন্দিত হন পর্যটকরা।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দূরের ডার্ক হার্টজ দ্বীপে যেতে গাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা লাগে। এ কারণে এটিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলেই মনে করেন অনেকে। তবে এটি মানতে নারাজ কায়রান। কেননা তার ওয়ারডেল’স অতিথিশালার ৮০ শতাংশই প্রতিদিন পর্যটকে পূর্ণ থাকে।
‘মানুষ প্রশ্ন করে, এটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কি-না? আমি মনে করি, এটি বিচ্ছিন্ন হলে পার্থ আরও বিচ্ছিন্ন। আমরা প্রতিদিন ২০ জন অতিথি বেষ্টিত থাকি’- বলেন কায়রান।
বাংলাদেশ সময়: ১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এএসআর