জানা যায়, দীর্ঘদিন জটিল মানসিক ব্যাধিতে ভুগছিলেন ওই নারী। বেশিরভাগ সময়ই ঘরের ভিতর বন্দি অবস্থায় কাটতো তার জীবন।
পাকস্থলীতে চুল জমতে জমতে এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা। সেখানকার ডাক্তাররা রোগীর পেটে সার্জারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
পাঁচজন ডাক্তারের একটি দল সার্জারিটি পরিচালনা করেন। পাকস্থলী থেকে তারা অপসারণ করেন দেড় কেজি চুল। চুলগুলো পেঁচিয়ে শক্ত বলের আকৃতি ধারণ করেছিল।
সার্জারি দলের প্রধান আরকে মাথুর বলেন, চুলগুলো দীর্ঘদিন ধরে পাকস্থলীর ভিতর জমতে জমতে তা একটি শক্ত দলায় পরিণত হয়েছিল। অতিদ্রুত পাকস্থলী থেকে চুলগুলো বের না করা হলে তা রোগীর জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়াতো।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ