ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই পাশুরুয়ানের রাস্তায় মোটরসাইকেল চালানোয় জরিমানা করা হয়েছিল ওই যুবককে। কিন্তু স্থানীয় ট্রাফিক কর্মকর্তা তার পরিচয়পত্রে লেখা নাম ‘পুলিশি’ দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশ বিভাগের ‘জনপ্রিয় মাস্কট’ হিসেবে গ্রহণ করে নেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ট্রাফিক পুলিশের হাতে জরিমানা হওয়ার রশিদটি পুলিশির ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোডের পর ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। ‘পুলিশি’ নামটি অনেক ইন্দোনেশিয়ানই তাদের একক নাম হিসেবে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু আমি আশা করিনি যে, এটি আমাকে সৌভাগ্য এনে দেবে’- বলেন তিনি।
‘ইশ্বর’, ‘শয়তান’সহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য নামধারীদের সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে জীবিকার্জনে নামা পুলিশি ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্জন করতে পারেননি। এখন অর্থ জমিয়ে ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ যোগানোর আশা করছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহেই পাশুরুয়ান পুলিশ স্টেশনে তার দাফতরিক কাজকর্ম শুরু করেছেন পুলিশি। নার্ভাস হয়ে তিনি বলছিলেন, ‘এটি আমার জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমি একটি অফিসে কাজ করার জন্য যোগ্যতা অর্জনে চেষ্টা করবো। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমার সর্বোচ্চটা দেবো’।
কর্মক্ষেত্রের প্রথমদিনে পুলিশের দেওয়া ছবিগুলো প্রদর্শন ও মোটরসাইকেল চালনার পরীক্ষা দিতে হয় পুলিশিকে। এখন রাস্তা তার জন্য পুরোটাই বৈধ। পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় সহায়তা করছেন তিনি।
‘পুলিশি আজ অফিসিয়ালি পুলিশ পরিবারের সদস্য’- বলেন পুলিশ ইউনিটের প্রধান এরিকা পুত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এএসআর