রাজধানী তাইপের ইয়াংমিংশান পর্বতমালায় স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস থেকে গত সপ্তাহে দেখা যায় ওই রংধনু।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ, ছবি ও ভিডিওচিত্র বলছে, রংধনুটির স্থায়িত্ব ছিল গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৭ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট।
ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হলে তা ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে ১৯৯৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা দীর্ঘস্থায়ী রংধনুর আগের রেকর্ডটি ভেঙে দেবে। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুসারে, ওইদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা রংধনুটির দেখা মেলে আকাশে।
গিনেসের ওয়েবসাইট বলছে, রংধনু সাধারণত এক ঘণ্টারও কম সময় ভেসে থাকে। শীতকালের এ সাধারণ শর্তের ৯ গুণ এবং আগের রেকর্ডের ৩ ঘণ্টা বেশি স্থায়ী তাইওয়ানের রংধনু তাই বিস্মিত করে পাহাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়টির সকলকে।
‘এটি আশ্চর্যজনক। এটি এতো বিরল যে, আকাশ থেকে পড়া উপহারের মতো মনে হলো’- বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক চৌ কুন হুসান।
অধ্যাপক চৌ ও বিভাগীয় অন্য অধ্যাপক লিউ চিং হুয়াং ছাত্রসহ ক্যাম্পাসের সকলকে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রংধনু হিসেবে ঘটনাটিকে গিনেস নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
‘চার ঘণ্টার পর থেকে আমরা আমাদের সব ছাত্রদের সংগঠিত করি এবং ছবি তুলে প্রত্যেকের কাছে পাঠাতে শুরু করি। যখন ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা আগের রেকর্ড ভেঙেছিলাম, তখন ছিল দুপুরের খাবারের সময়। আমি এতো উত্তেজিত ছিলাম যে, খেতে যাইনি। আমি পুরো ছবিটি ধারণে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটি তিন ঘণ্টার মধ্যে আরও অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে আগের রেকর্ডটি ভেঙে!’- বলেন অধ্যাপক চৌ।
এখন গিনেস রেকর্ডভুক্ত করতে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক চৌ কুন হুসান আরও বলেন, ‘১০ হাজার ছবি আমরা বিভাগ থেকে তুলেছি এবং ক্যাম্পাসের অন্য সকলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে আরো অনেক কিছু। আমি নিশ্চিত যে, গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দ্বিতীয়বারও প্রমাণ করতে পারবো যে, এই রংধনু নয় ঘণ্টা ধরে চলে’।
তিনি আরও যোগ করেন- ‘আমি তাইপে নগর পর্যটন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে উৎসাহিত করবো এই বলে যে, ‘আপনি শীতকালে এসে নয় ঘণ্টায় আকাশগঙ্গা দেখতে পারেন, এটি আশ্চর্যজনক! তাইপেতে আসুন!’
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এএসআর