ঘটনাটি দক্ষিণ চীনের ইউলিন শহরের গুইশান চিড়িয়াখানার। আরও অভিযোগ রয়েছে সেখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের।
চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরে চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে বেশ ভাল রকম প্রচারণাও চালিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
একটি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, চিড়িয়াখানাটিতে পর্যটকরা অনেক বিরল প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাবেন। প্রচারণার জন্য বিলি করা লিফলেটে (প্রচারপত্র) ছিল উটপাখি, কুমির ও ময়ূরের ছবি। প্রদর্শনীর জন্য পেঙ্গুইন আনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল লিফলেটে।
পেঙ্গুইন দেখতে জনপ্রতি ১৫ ইউয়ান (প্রায় ১৯০ টাকা) দামে টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন পর্যটকরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো সবার আক্কেল গুড়ুম। দেখা গেল, সেখানে বাতাসের সাহায্যে ফুলানো একটি প্লাস্টিকের পেঙ্গুইন একটি কৃত্রিম জলাশয়ের মাঝখানে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা।
চিড়িয়াখানার একপাশে হাওয়াভরা এরকম বেশ কিছু পেঙ্গুইন দেখা গেল। এদের কয়েকটির ভেতর থেকে হাওয়া বেরিয়ে চুপসে মাটিতে লুটিয়ে আছে। জীবন্ত প্রাণী বলতে আছে কেবল একটা কচ্ছপ আর গোটাকয় হাঁস-মুরগী।
চিড়িয়াখানায় পেঙ্গুইন দেখানোর নামে প্লাস্টিকের খেলনা দেখানোর এহেন ঠগবাজির নমুনা হিসেবে কিছু ছবি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিমেষে তা ভাইরাল হয়।
এতে একজন মন্তব্য করেন, ‘আমার কাছে ঘটনাটা হাস্যকর লাগছে। কিন্তু যারা টিকিট কেটে এ চিড়িয়াখানায় গেছেন, তাদের রেগে যাওয়ায় যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বাজারে গেলেই এসব হাঁস-মুরগীর দেখা মেলে এবং সেগুলো দেখতে টিকিটও কাটা লাগে না’।
চিড়িয়াখানার মালিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, একজন থার্ড-পার্টি ঠিকাদারের মাধ্যমে এ প্রাণীগুলো আনা হয়েছে। তিনি জানতেন না জীবন্ত পেঙ্গুইনের বদলে এসব প্লাস্টিকের পেঙ্গুইন রেখে গেছেন সেই ঠিকাদার।
প্লাস্টিকের পেঙ্গুইন নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে ওই চিড়িয়াখানাটিতে আপাতত তালা ঝুলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম