লোকালয় থেকে দূরে খড়, বাঁশ, মাটি বা আলগা পাথর সাজিয়ে গড়া চৌচালা ও দোচালা আকৃতির এসব কাঁচা ঘরে নির্বাসিত নারীদের ওপর রাতের আঁধারে নির্যাতন নৈমিত্তিক ঘটনা। খাবার-দাবারের সরবরাহ অপর্যাপ্ত।
সার্বিক বিবেচনায় তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাচীন এই রীতি নিষিদ্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। তারপরও প্রত্যন্ত এলাকায় এমন অমানবিক নির্বাসনের চল রয়েছে। তাই নিষিদ্ধ এই চর্চার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে কাঞ্চনপুরের স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিও।
স্থানীয়দের অনেকেই শামিল হয়েছেন এমন অমানবিক নির্বাসন বিরোধী প্রচারণায়।
পর্যায়ক্রমে সব ‘নির্বাসন ঘর’ উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, অতীতেও এসব ঘরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কুসংস্কারের চর্চা বন্ধ করা যায়নি। এই অমানবিক চর্চা বন্ধ করতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
জেডএম/