মোচি নামের সুস্বাদু খাবারটি নিখুঁত বলে মনে হতে পারে, কিন্তু খাওয়া খুব কঠিন। প্রতি বছর জীবনহানির কারণ হওয়ায় নববর্ষের আগে দেশটির কর্মকর্তারা সেটি খেতে সতর্কবার্তাও দেন।
নরম বৃত্তাকার কেকটি এবং চুইচালে তৈরি সুন্দর বন জাতীয় খাবার। চাল প্রথমে সিদ্ধ এবং পরে বিচূর্ণ ও মিশ্রিত করা হয়। ফলে চটচটে চালের মিশ্রণটি মোচির আকৃতি পায় এবং সব শেষে সেঁকে বা সিদ্ধ করে চূড়ান্তভাবে তৈরি হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে নববর্ষ উদ্যাপনে জাপানি পরিবারগুলো মোচির একটি সবজি রান্না করে। মন্দিরগুলোতেও পরিবেশিত হয় খাবারটি।
চুইচালের আঠালো বনটি দাঁত দিয়ে চূর্ণ করার আকারের চেয়ে অনেক বড়। অথচ এটি খাওয়ার আগে ভালো করে চিবানো প্রয়োজন। শিশু বা বয়স্কদের মতো কেউ উপযুক্তভাবে চিবাতে না পারলে তাদের পক্ষে মোচি খাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
সঠিকভাবে চিবাতে না পারলে খাবারটি গলায় আটকে দমবন্ধ হয়ে যেতে পারে।
জাপানি গণমাধ্যমের মতে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ৯০ শতাংশকেই এবারের নববর্ষে এটি খেতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
তাই প্রতি বছরই নববর্ষ উদ্যাপনে মোচি খেতে বয়স্ক ও শিশুদেরকে বার বার এবং কঠিনভাবে চিবানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। সেটি না করা গেলে কেকটিকে কেটে টুকরো টুকরো করে নিতে হবে।
এ সতর্কতা সত্বেও এখনও এ খাবারটি মৃত্যু ও অসুস্থতার ঝুঁকি-আশঙ্কার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এএসআর