কিন্তু কুকুর ছানাটি একটু বড় হয়ে উঠতেই নানা অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে থাকে। তার ডাক অন্য কুকুরদের মতো না।
পরে ওই কুকুর মালিকের ভুল ভাঙে। কারণ কুকুর ছানা মনে করে একটি ভালুক ছানা তুলে এনেছিলেন তিনি।
মাত্র আট মাসে ভালুকটির দৈর্ঘ্য বাড়তে বাড়তে হয়ে যায় এক দশমিক সাত মিটার। ওজন দাঁড়ায় ৮০ কিলোগ্রাম। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি ভালুকটিকে খাঁচার ভেতর শিকলের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ইয়ুনান প্রদেশের বন বিভাগের কর্মীরা ভালুকটিকে আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত তা খাঁচার ভেতরই ছিল। কালো ভালুকদের এভাবে খাঁচার মধ্যে আটকে রাখা বেআইনি। তাই ‘এনিমেল রেসকিউ’য়ের লোকজন এসে ভালুকটিকে প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যান।
ভালুকটির কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে একটি চীনা ইউটিউব চ্যানেল। ধারণা করা হয়, ভিডিওটি ওই ভালুকের মালিকের ধারণ করা। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কালো রঙের একটি ভালুক ছানা একটি কুকুরের সঙ্গে খেলছে।
ভিডিওতে ভালুক ছানাটিকে মোটেও কোনো কুকুরের মতো দেখাচ্ছে না, বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। ভালুকটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ব্যক্তি বাড়িতে আটকে রাখতে পারেন বলে সন্দেহ বন বিভাগের কর্মীদেরও।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ