সমস্যা জিজ্ঞেস করতেই জানা গেলো, কোথাও কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি, এমনকি ওই নারীর পোষা রেকুনটিও মারা যায়নি। আসল ঘটনা হচ্ছে, অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করায় তার পোষা রেকুনটির অবস্থা খুব খারাপ।
ফায়ার সার্ভিসের ক্যাপ্টেন মাইক প্রাইট সংবাদমাধ্যমকে জানান, রেকুনটি অবসন্ন ও নিরুদ্যম ভঙ্গিতে শুয়েছিল। গাঁজা সেবনের পর মানুষের মধ্যে যেসব উপসর্গ দেখা দেয় রেকুনটির মধ্যেও সেগুলো দেখা যাচ্ছিল।
দুর্ভাগ্যবশত, রেকুনটির জন্য তেমন কিছু করার ছিল না দমকলকর্মীদের। তারা ওই নারীকে তার পোষা রেকুনসহ বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
পরে দমকলকর্মীরা টুইটারে ঘটনার বিবরণ শেয়ার করেন। পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দেন গাঁজা ফুঁকে চোখ লাল করে থাকা একটি রেকুনের ইলাস্ট্রেশন। আর এটাই পরিণত হয় সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভাইরাল ইভেন্টে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ সম্পর্কে নিজেদের মজার মজার মতামত জানান।
একজন মন্তব্যে লিখেছেন, গাঁজা সেবনে অসুস্থ হওয়ার পর রেকুনটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাকে ফায়ার সার্ভিসে আনা হলো কেন? এখানে আসলে কে গাঁজা সেবন করেছিলেন সেটা পরিষ্কার নয়!
এটা এখনও কেউ নিশ্চিত না, কীভাবে একটা রেকুন গাঁজা ফুঁকে অসুস্থ হয়ে গেলো। তবে কয়েক মাস আগে আর্জেন্টিনার আটজন পুলিশ সদস্য বহিষ্কার হয়েছিলেন। কারণ তারা দাবি করেছিলেন, পুলিশের গুদাম থেকে ৫০০ কেজি গাঁজা খেয়ে গেছে একদল ইঁদুর!
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এনএইচটি/এএ