ক্যাফেটির নাম ‘কিড মাই ডেথ অ্যাওয়ারনেস ক্যাফে’। এরকম অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের ক্যাফে খোলার সৃজনশীল আইডিয়াটি এসেছে এর প্রতিষ্ঠাতা ভিরুনাত রোজানাপ্রাপার মাথা থেকে।
তিনি জানান, ক্যাফেটির মূল উদ্দেশ্য মানুষের মধ্যে বৌদ্ধধর্মের দর্শন শিক্ষা দেওয়া। কাস্টমাররা এখানে নিজের মৃত্যু নিয়ে চিন্তা-ভাবনার সুযোগ পাবেন এবং এরফলে তাদের লোভ ও রাগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
অনেকটা কবরস্থানের মতো পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ক্যাফেটিতে। সাধারণ চেয়ার-টেবিলের পাশাপাশি রয়েছে সাদা রঙের কফিন। দেয়ালে দেয়ালে লেখা রয়েছে মৃত্যু সম্পর্কিত বিভিন্ন বাণী। ‘জন্ম’, ‘মৃত্যু’, ‘বৃদ্ধ’, ‘ভোগান্তি’র মতো অদ্ভুত অদ্ভুত নামের পানীয় অর্ডার করা যাবে এখানে।
কাস্টমাররা কফিনের মধ্যে যতক্ষণ খুশি অবস্থান করতে পারবেন। কফিনের অন্ধকার গহ্বরে প্রবেশের পর এর ঢাকনা লাগিয়ে দেবেন একজন স্টাফ। তবে বাতাস চলাচলের জন্য এতে রয়েছে দু’টি ছোট ছোট ছিদ্র।
কাস্টমাররা তাদের কফিন অভিজ্ঞতা ও মৃত্যু সম্পর্কিত উপলব্ধির কথা লিখে রাখতে পারবেন একটি স্ক্র্যাপবুকে। সেখানে একজন কাস্টমার লিখেছেন, ‘মৃত্যু’ একজন জ্ঞানী বন্ধুর মতো। জীবন মাত্র একটাই, তাই আমাদের ভয়কে জয় এবং হীনতাকে দূরে ঠেলে দেওয়া উচিত। মৃত্যু না থাকলে সবকিছুই তুচ্ছ ও সাদামাটা হয়ে যেত।
মৃত্যুর পর নিজেদের দেহ যেভাবে সমাহিত করতে চান অথবা জীবনের শেষ ইচ্ছার কথাও এতে লিখে রাখেন অনেকে।
ক্যাফেটির মালিক পক্ষের দাবি, কফিনে শুয়ে অল্প পরিমাণে মৃত্যুর স্বাদ নেওয়ার পর আগের চেয়ে আরও মহান ব্যক্তিতে পরিণত হন কাস্টমাররা। তাদের আত্মা শান্তি লাভ করে এবং লোভ-রাগ ইত্যাদি খারাপ গুণ দূরে সরে যায়।
তবে প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের অনেকেই মনে করেন, কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে ভৌতিকতা ছড়িয়ে দিচ্ছে ক্যাফেটি। কারণ ক্যাফের একটি এপিটাফের লেখা দেখে ভয় পেয়েছেন বেশকিছু কাস্টমার। সেখানে লেখা, ‘শেষপর্যন্ত তোমাকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৮
এনএইচটি