ককো ইস্তামুলাভার বসবাস চেচনিয়ায়। রাশিয়ান সরকারের ইস্যু করা অনলাইন পাসপোর্ট অনুযায়ী ইস্তাম্বুলাভার জন্ম ১৮৮৯ সালের ১ জুন।
৫৫ বছর বয়সে দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা। নিজের বাড়ির পাশ দিয়ে নাৎসিদের ট্যাংক চলে যেতে দেখেছেন। হিটলারের পতনের পর নাৎসিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইস্তাম্বুলাভাকে পরিবারসহ কাজাখস্তানে পাঠিয়ে দেয় স্তালিন প্রশাসন। আবার ১০২ বছর বয়সে দেখেছেন সেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন।
নিজের দীর্ঘায়ুর রহস্য প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি এতদিন বেঁচে রয়েছি। দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আমি কোনো প্রচেষ্টাই করিনি। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যারা দীর্ঘায়ুর জন্য ব্যায়াম করেন বা বিশেষ কোনো খাবার খান। কিন্তু আমি কেন এতদিন বেঁচে রয়েছি সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণাই নেই।
এই বয়সেও ইস্তাম্বুলাভা নিজে নিজে হাঁটতে-চলতে পারেন। খাওয়ার ব্যাপারেও কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। মাছ-মাংস পরিহার করে চলেন যথাসম্ভব। পছন্দের খাবার দুধ। তবে সম্প্রতি দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন তিনি।
নিজের দীর্ঘায়ু নিয়ে অসুখী ইস্তাম্বুলাভা। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ জীবন বইতে বইতে আমি ক্লান্ত। দীর্ঘায়ু ঈশ্বরের আশীর্বাদ হতে পারে না, এটা এক প্রকারের শাস্তি।
ইস্তাম্বুলাভার আত্মীয়-স্বজনরা জানান, জীবদ্দশায় নিজের সবক’টি সন্তানের মৃত্যু দেখে যেতে হচ্ছে তাকে। তার বেঁচে থাকা সন্তানদের মধ্যে শেষজনের মৃত্যু হয়েছে বছর পাঁচেক আগে ১০৪ বছর বয়সে।
জানা যায়, ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সালের দিকে চেচনিয়ার যুদ্ধকালীন সময় নিজের সব নথিপত্র হারিয়েছেন ইস্তাম্বুলাভা। এ কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানবের কোনো অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তাকে।
এখন পর্যন্ত জীবিত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানব হিসেবে স্বীকৃতিটা রয়েছে জাপানের শিয়ো মিয়াকোর। গত ২ মে ১১৭ বছরে পা রেখেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ