নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, আরও চারজনের সঙ্গে গাড়িতে করে ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ওই নারী। একসময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
কয়েকঘণ্টা পর মর্গের ফ্রিজ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পান সেখানকার টেকনিশিয়ানরা। ফ্রিজের দরজা খুলে দেখা গেলো বেঁচে আছেন ওই নারী।
মর্গের একজন ডোম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা কখনই ভাবিনি মর্গের ফ্রিজের দরজা খুলে কাউকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাবো। আমরা ময়নাতদন্ত শুরু করলে নির্ঘাত তিনি মারা যেতেন।
অতঃপর ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন।
এরপর ঘটনার তদন্তে নামে কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে জানা যায়, যে অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে হতাহতদের সেবা দিচ্ছিল সেই অ্যাম্বুলেন্সের ক্রুদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির ফলেই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি।
জীবিত ব্যক্তিকে ভুলে মৃত ঘোষণা দেওয়ার ঘটনা আরও অনেক ঘটতে দেখা যায়। জানুয়ারিতে স্পেনের এক কারাবন্দিকে তিনজন ডাক্তার পরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেছিলেন। পরে তাকে অটোপ্সি টেবিলে নাক ডাকতে শোনা যায়। ২০১৪ সালে পোল্যান্ডে ৯১ বছর বয়সী মৃত ঘোষণার পর ১১ ঘণ্টা একটি মর্গে কাটান। একসময় মর্গের এক কর্মী তার মরদেহের ব্যাগ নড়ে উঠতে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ