এবার অনন্য ডিজাইনের বিলাসবহুল ইয়টটিকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর মালিক। সম্প্রতি এ জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন তিনি।
তবে, ইয়টটি বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোনো দাম উল্লেখ করা হয়নি। ওয়েবসাইটে অ্যাডাস্ট্রাকে ‘কুলেস্ট অ্যাডভেঞ্চার ইয়ট’ আখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০১৩ সালে সম্পূর্ণ নতুন ইয়টটির দাম ছিল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১২৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
ত্রিমারান (এক ধরনের বিশেষ নৌযান) নৌকার অনুকরণে তৈরি ইয়টটিতে আছে পাঁচটি বেডরুম, চারটি বাথরুম ও খোলা বাতাসে বসে পান করার মতো একটি উন্মুক্ত বার। শুধু নকশায় নয়, প্রযুক্তিগতভাবেও বেশ আধুনিক সুপার-ইয়টটি। একে প্রায় ১৬৪ ফুট দূর থেকে আইপ্যাডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ইয়টটির নির্মাতা জন শাটলওর্থ জানান, ১৪০ ফুটের সুপার-ইয়টটি পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা। অত্যন্ত হালকা কাঁচ ও কার্বন দিয়ে বানানো নৌযানটির মাত্র ২০ ভাগ পানির নিচে ডুবে থাকে। এ কারণে পানির সঙ্গে ঘর্ষণ হয় খুবই কম। তাই, জ্বালানিও লাগে কম।
তবে, এর নির্মাতা মনে করেন, বিলাসবহুল ইয়টের ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ কোনো ব্যাপারই না। কারণ, এটি চালাবেন শুধু ধনী ব্যক্তিরাই।
সুপার-ইয়টটির বর্তমান মালিক হচ্ছেন হংকংভিত্তিক একটি শিপিং কোম্পানির মালিক ধনকুবের আন্তো মারডেন। তিনি জানান, স্ত্রীকে নিয়ে সাত বছর ধরে ইয়টে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এখন তাদের দেখার মতো তেমন কোনো জায়গা বাকি নেই। এ কারণেই ইয়টি বিক্রি করে দিচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
একে