ভারতের পূর্ব সিংভূম জেলার শঙ্করদা পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের চার শিশু মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা চিকিৎসকের হাতে তুলে দিয়েছে। কারণ হলো কঙ্কা মুরমু নামের সম্পূর্ণ অন্ধ এক শিশু।
সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খন্ডের বাগবেরায় রেড ক্রস বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। সেখানেই চিকিৎসার জন্য এসেছিল পাঁচ বছর বয়সী সম্পূর্ণ অন্ধ শিশু কঙ্কা মুরমু। সেখানে অদিত্য কুমার সিংহ ও তার তিন বন্ধু সিভাম কুমার সিংহ, সুভাম কুমার প্রসাদ এবং অনন্ত কুমার প্রসাদ মুরমুর মন খারাপের কারণ জানতে চান ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তাদের বলেন, ‘মুরমুর সম্পূর্ণ অন্ধ। তার দু’টি চোখেই অপারেশন করা প্রয়োজন। তখন আদিত্য দ্রুত তার বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে মাটির ব্যাংক নিয়ে আসে আমার হাতে তুলে দেয়। এমনকি তারা এও বলে যে, তারা মুরমুর সার্জারির খরচ বহন করতে নিজেদের বাবা-মাকে অর্থসহায়তা দেওয়ার অনুরোধ করবে। ’
শিশুদের ব্যাংকের টাকা হয়তো মুরমুর চোখের চিকিৎসায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু শিশুদের কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে ঝাড়খন্ডের দুই চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিনামূল্যে মুরমুর সার্জারির দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড. বিপি সিংহ এবং ড. অশোক যাদন মুরমুর অপারেশন করবেন। তার প্রথম চোখে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এবং বাকি চোখে একমাস পর সার্জারি করানো হবে বলে জানিয়েছেন জামশেদপুর রেডক্রস সোসাইটির অনারারি সেক্রেটারি বিজয় সিংহ।
এ অবস্থা দেখে মুরমুর বাবা জগন্নাথ মুরমু আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি এ চারজন শিশুর প্রত্যেকের কাছেই কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবী ও ডাক্তারদের কাছেও। তার নতুন চার বন্ধুকে দেখার জন্য হলেও যেন আমার শিশু দৃষ্টি ফিরে পায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এইচএডি/