কিন্তু, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে থাকে ম্যাক্সিম। প্রচণ্ড দুর্বল শিশুটির সমস্যা সম্পর্কে জানার জন্য চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে জানা যায় শিশুটি আসলে ছেলে নয়, মেয়ে।
বিরল অ্যাড্রেনোজেনিটাল সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুটি। এই রোগে তার লিঙ্গের আকৃতি স্ফীত হয়ে যায়। লিঙ্গের ভিন্নতর আকৃতির কারণেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভুল করে তাকে ছেলে মনে করেছিলেন।
শিশুটির মা ক্রিস্টিনা জানান, হাসপাতাল থেকে আসার পর শিশুটি দিন দিন দুর্বল হতে থাকে। তীব্র অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, সে বিরল রোগে আক্রান্ত।
এর পরপরই ক্রিস্টিনা তার সন্তানের নাম পরিবর্তন করে রাখেন আনা।
কিন্তু আনা’র জন্মসনদ অনুযায়ী সে এখনো ছেলে হিসেবেই স্বীকৃত। সহজে তার জন্মসনদ পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি সমাধানের জন্য ক্রিস্টিনা আদালতে অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতুন জন্মসনদ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়।
ক্রিস্টিনা জানান, হাসিতে, আচরণে এমনকি চিৎকারেও শিশুটি মেয়ে। শুধু তার লিঙ্গই স্ফীত।
শিশুটি এখনো চিকিৎসাধীন। বয়স ১৮ মাস হলে তার সার্জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এবি/একে/কেএসডি