বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জিম্বাবুয়ের মন্ত্রিপরিষদ এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
প্রেসিডেন্ট মানানগগাওয়ার পাশাপাশি ১৯৭০ সালে শ্বেতাঙ্গ শাসকদের বিরুদ্ধে গেরিলা যোদ্ধাদের নামে দেশটির বিভিন্ন শহরের সড়ক ও ভবনের নামকরণ করা হবে।
এছাড়া কঙ্গোর প্যাট্রিক লুমুম্বা, কেনিয়ার জোমো কেনিয়াট্টা, মিসরের জামাল আবদুন নাসের, কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো, চীনের মাও সেতুংসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের নাম নতুন এ নামকরণ প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা দেশটিতে শুধু সড়ক ও ভবনের নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের বৈঠককে ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে তারা বিদ্রুপ-কটাক্ষ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এক টুইটার ব্যবহারকারী রসিকতা করে টুইট করেন, ‘এখন হয়তো জিনিসপত্রের দাম কমবে এবং বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে। ’
নামকরণের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে অপর একজন টুইট করেন, ‘এর মাধ্যমে মানুষের টেবিলে খাবার আসবে না। ছোট ছোট বিষয়ে এ সরকার ওস্তাদ। ’
অন্য এক টুইটে বলা হয়, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, দুর্নীতি দমন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং অনিয়ম দূর করার বদলে আপনি নিজের নামে রাস্তার নামকরণে ব্যস্ত। সময়ের চমৎকার ব্যবহার। ’
২০১৭ সালে জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদিনের শাসক রবার্ট মুগাবেকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তার দীর্ঘদিনের মিত্র এমারসন মানানগগাওয়া। তিনি দু’বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও দেশে যথাযথ অর্থনৈতিক সংস্কার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এবি