ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

রোগীর শরীরে মিললো সাড়ে ৭ কেজি ওজনের কিডনি!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
রোগীর শরীরে মিললো সাড়ে ৭ কেজি ওজনের কিডনি!

একটি কিডনির স্বাভাবিক ওজন ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম। কিন্তু সম্প্রতি এক রোগীর শরীর থেকে ৭.৪ কেজি ওজনের একটি কিডনি অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ কিডনিটির ওজন দুটি নবজাতক শিশুর সমান। 

অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভারতের দিল্লিতে ‘স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল’-এ ঘটনাই ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

 

খবরে বলা হয়, ওই রোগী ‘অটোজোমাল ডমিন্যান্ট পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিস’ নামে বিশেষ এক ধরনের অসুখে ভুগছিলেন। এতে পুরো কিডনি ঘিরে সিস্ট (অর্বুদ) তৈরি হয়। ফলে রোগীর শরীরে বৃহৎ আকারের কিডনি পাওয়া যায়। তারপরও এতো বড় কিডনি পাওয়ায় খুবই অবাক বলে জানিয়েছেন অপারেশনে সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক।  

শচীন কাঠুরিয়া নামে ওই চিকিৎসক বলেন, এ ধরনের অসুখের ক্ষেত্রে ইনফেকশন (সংক্রমণ) বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের উপসর্গ না পেলে চিকিৎসকরা সাধারণত কিডনি অপসারণ করেন না, যেহেতু কিছু না কিছু মাত্রায় কিডনিটি শরীরের ছাঁকন প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।  

‘এ রোগীর ক্ষেত্রেও ইনফেকশন হয়েছিল। অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হচ্ছিল না। তাছাড়া বিশাল আকারের কিডনির ফলে তার শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছিল। ফলে কিডনিটি অপসারণ ছাড়া আমাদের হাতে কোনো বিকল্প ছিল না। ’

অপারেশনের সময় চিকিৎসকরা বড়সড় আকারের কিডনিই প্রত্যাশা করছিল, কিন্তু সেটি যে এতো বড় হতে পারে, তা তারা ভাবতেই পারেননি বলে জানান কাঠুরিয়া। এ রোগীর বাকি কিডনিটিও আকারে বেশ  বড় বলে জানান তিনি।  

এ চিকিৎসক আরও জানান, এখন পর্যন্ত গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠা সবচেয়ে বেশি ওজনের কিডনিটি সাড়ে ৪ কেজির। যদিও ইউরোলজি জার্নালের রেকর্ডে এর চেয়েও বেশি ওজনের কিডনির উল্লেখ পাওয়া যায়। জার্নাল অনুসারে, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ কেজি ওজনের ও নেদারল্যান্ডে ৮.৭ কেজি ওজনের কিডনি পাওয়া গেছে।  

তারপরও গিনেজ বুকে সেগুলোর উল্লেখ না থাকায় ৭.৪ কেজি ওজনের এ কিডনিটির জন্য গিনেজ কমিশনে আবেদন করা হবে কিনা এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন কাঠুরিয়া। তবে তারা বিষয়টি বিবেচনা করছেন।    

‘অটোজমাল ডমিন্যান্ট পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিস’ একটি বংশগত রোগ। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে রোগীর বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে তার কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯  
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।