আর সঙ্গে সঙ্গেই তা ছড়িয়ে পড়লো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও। এ নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক নানা আলোচনাও শুরু হয়েছে।
নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় এক তরুণী এক যুবকলের গলায় দড়ি ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর পেছনে হাঁটু গেড়ে ওই যুবক কুকুরের ভঙ্গিতে পেছনে পেছনে ছুটে চলেছেন।
জানা যায়, ‘হিউম্যান ডগ’ বিষয়টি বাংলাদেশে প্রথম হলেও এই ‘পারফর্মিং আর্টে’র ধারণা বেশ পুরনো। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বেশ প্রচলিত এ ‘পারফর্মিং আর্ট’ প্রথম দেখা যায় ১৯৬৮ সালে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের রাস্তায় প্রথম ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল এই পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর বাস্তবে মানুষকে প্রাণী চরিত্রে দেখানো হচ্ছে ‘পারফর্মিং আর্ট’।
সম্প্রতি ঢাকার হাতিরঝিলে ‘পারফর্মিং আর্ট’ ফ্রম পোর্টফোলিও অব ডগডনেসের যে পুনারাবৃত্তি ঘটে তাতে অংশ নেওয়া নারীর নাম সেঁজুতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িং বিভাগের এই ছাত্রী এই ‘পারফর্মিং আর্ট’কে একে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ ও ‘আচরণমূলক’ কেসস্টাডি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে সেঁজুতির ভাষ্য, পারফর্মিং আর্টে’ একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কিংবা আরো ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তোলে না।
‘বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এই কাজ করে আমরা দেখতে চেয়েছি- এর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাধারণ মানুষ বিষয়টাকে কীভাবে নিয়েছে। ’
তবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিক্রিয়া যে খুব একটা ইতিবাচক দিকে এগিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএ