শপিংমলে কেনাকাটা করতে গেছেন মার্কিন এক নারী। সেখানে কেনাকাটা করার সময় হঠাৎ তার কানে ভেসে এলো বিরহের গান।
তার ভাষ্য হচ্ছে, এখনই সেই গান বন্ধ করে অন্য গান চালাতে হবে। কর্মীরাও তাকে জানান, এত দ্রুত প্লে-লিস্ট পাল্টানো সম্ভন নয়! এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মার্কিন ওই নারী শপিংমলের কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
অবশেষে তাকে থামাতে শেষে পুলিশ ডেকে আনেন মলের ম্যানেজার। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেও রাগী ওই নারীকে শান্ত করতে পারেনি। বরং রাগ সপ্তমে পৌঁছে যায় তার। উপস্থিত পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা তাকে ব্যবহার সংযত করতে বলতেই তার ওপরে চিৎকার করতে থাকেন।
পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মলে থেকেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। তার জেরে ওই কর্মকর্তা বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। তাকে নাকি মল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন। এরপরই ওই নারীকে আটক করা হয়।
সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারাডাইস ফ্রুট মার্কেটে।
প্রত্যেক মানুষের রুচি ও পছন্দ কিন্তু আলাদা। কারও ক্লাসিক্যাল গান পছন্দ, কারও রক, তো কারও আবার পছন্দ গজল। দুঃখের গান শুনতেও অনেকে পছন্দ করেন। তবে মার্কিন নারীর যে, তাতে এত আপত্তি থাকতে পারে তা বোঝার সাধ্য আগে থেকে শপিংমলের কর্মচারীদের ছিল না।
জেলহাজতে থেকেও নারীর ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন আসেনি। জামিনে ছাড়া পেয়ে পুলিশ স্টেশনে তাণ্ডব করতে থাকেন তিনি। সেখানেও গালিগালাজ করতে থাকেন। আবারও তাকে আটক করা হয়। দ্বিতীয়বার হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাড়া হয় মার্কিন ওই নারীকে। জামিনের বদলে মোটা অর্থও জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এএটি