নাকে সোনালি রঙের নথ, দুই হাতে সোনার চুড়ি-গহনা, গায়ে জড়ানো লাল টুকটুকে বেনারসি। একজন বধূ সাজে বাকি পাঁচজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসেছেন ভারতের শিবাঙ্গী নামে এক তরুণী।
কেউ কেউ বলেছেন, এতটা বাড়াবাড়ি না করলেই কি নয়! শিবাঙ্গীর ইচ্ছেটা অতিরঞ্জিত!’ তাদের পাল্টা উত্তর দিয়ে অন্য একটি অংশ বলছে, ‘নিন্দুকদের কথায় কান দিও না শিবাঙ্গী। বিয়ের চেয়ে শিক্ষাকে বড় করে দেখানোর তোমার এই যে প্রয়াস, তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। অন্য একজনের কথায়, নিজের চোখ দিয়ে অপরকে বিচার করা বন্ধ করুন। শিক্ষাকে শিবাঙ্গী যে গুরুত্ব দিয়েছেন, সেটাকেই বড় করে দেখুন।
সব শুনে মন্দ কথার জবাব দিয়েছেন শিবাঙ্গীও, বলছেন, আমার বিয়ের দিন ঠিক হয়ে যাওয়ার পরই পরীক্ষার তারিখ দেয়। দিনটি বাতিল করা আমাদের পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। আর বিয়ের দিন সকাল থেকেই প্রথা মেনে পাত্র-পাত্রীর বাড়িতে নানা অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তাতে কনেকে অংশ নিতে হয়। আমি ব্যতিক্রম নই। তাই বিয়ের পোশাক পরে পরীক্ষা দিয়েছি। তা দেখে কেউ তির্যক মন্তব্য করতেই পারেন। তবে আমি মনে করি, বিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা নয়।
ব্যাচেলার অব সোশ্যাল ওয়ার্ক (বিএসডব্লিউ) বিভাগের অধ্যায়নরত শিবাঙ্গী। হবু স্বামীর বিষয়ও একই। দুইজনই শান্তিনিকেতন কলেজের শিক্ষার্থী। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, নিউজ ১৮
এদিন পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। শিবাঙ্গী কনের সাজে সেই পরীক্ষা দেওয়ার পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
তিনি বলছিলেন, এছাড়া আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিল না। হবু স্বামীর পরিবার থেকেও কোনো আপত্তি ওঠেনি। বরং তারা আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এএটি