কথায় আছে ভালোবাসার নেই কোনো বয়স, ভালোবাসা কোনো নিয়মও মানে না। কোনো বেড়াজালে তাকে বাঁধা যায় না।
তরুণ বয়সেই মরিসের সঙ্গে জোয়ানের আলাপ হয়েছিল। তারপর বহু বছর কেটে যায়। একটা সময় তারা দু’জনেই বুঝতে পারেন, পরস্পরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু, সেই সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো তাগিদ অনুভব করেননি। এরপর টানা ৩৭ বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন মরিস ও জোয়ান।
জনপ্রিয় একটি সংবাদপত্রে তাদের প্রেম কাহিনি প্রকাশিত হয়েছে। সে কাহিনী মন ছুঁয়েছে সবার।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হন মরিস। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে পাকাপাকিভাবে পরস্পরের থেকে আলাদা হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু, শেষমেশ হার মানতে হয় মৃত্যুকেও। আর এই ঘটনার পরই এই যুগলের মনে হয়, তাদের এবার বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
এরপর ৯০ বছরের মরিস বেনটন বিয়ের প্রস্তাব দেন ৯২ বছরের প্রেমিকা জোয়ান ওরিসকে। সেই প্রস্তাবে সায় দেন জোয়ান। এরপরই স্থানীয় একটি চার্চে বিয়ে সেরে ফেলেন তারা। বিয়ে উপলক্ষে কদিন আগেই আনন্দে মেতে উঠেছিল নবদম্পতির গোটা পরিবার।
জোয়ানের নিজের দুই সন্তান রয়েছেন। রয়েছেন ছয় নাতি-নাতনি। মরিস হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন জোয়ান। কিন্তু তবুও সঙ্গীকে একবারের জন্যও একলা ছাড়েননি তিনি। জোয়ান ও তার পরিবারের সবার আন্তরিক চেষ্টায় এবং চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেরে উঠেছেন ৯০ এর তরুণ। আর মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেই নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে যান মরিস।
প্রসঙ্গত, জোয়ানের এর আগে দু’বার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম বিয়ের স্মৃতি খুব একটা সুখের ছিল না। শেষ পর্যন্ত প্রথম স্বামী সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। আর তার দ্বিতীয় স্বামী মৃত্যু হয় ৫০ বছর বয়সে। এরপর থেকেই মরিসের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে আবদ্ধ হন জোয়ান।
সূত্র: মাই লন্ডন
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
জেডএ