ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অফবিট

তোরণ-ব্যানারে উঘারিয়া গ্রাম সাজিয়েছেন কাতার সমর্থকরা

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
তোরণ-ব্যানারে উঘারিয়া গ্রাম সাজিয়েছেন কাতার সমর্থকরা

চাঁদপুর: বাংলাদেশে ফুটবল সমর্থকদের অধিকাংশই ব্রাজিল না হয় আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। এরপর জার্মান, স্পেন, ফ্রান্সসহ কয়েকটি দলের সমর্থকও রয়েছেন অনেকে।

 

তবে এবার কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এ ব্যতিক্রমও দেখা গেছে কোথাও কোথাও। তেমনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের উঘারিয়া গ্রামের কিছু প্রবাসী যুবক তাদের গ্রামকে সাজিয়েছেন কাতারের পতাকার আদলে। সড়কের বিভিন্ন মোড়ে কাতারের পতাকার আদলে করা হয়েছে তোরণ, ভবনে টাঙানো হয়েছে দীর্ঘ ব্যানার। দীর্ঘদিন কাতারে থাকায় এভাবে ওই দলের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তারা।  

ওই গ্রামের জাহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন যুবক কাতারে থাকেন। এর মধ্যে কয়েকজন বিশ্বকাপ খেলা শুরুর আগেই ছুটিতে দেশে এসেছেন। তারাই মূলত কাতার সমর্থক হিসেবে এলাকায় নিজেদের অর্থে সাজসজ্জার আয়োজন করেছেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পূর্ব থেকেই ওই গ্রামের প্রবাসীদের উদ্যোগে ১৯ নভেম্বর একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের করেন। তবে স্বাগতিক কাতার উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এখন একটু উত্তেজনা কম।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফারুক আলম ও আরমান জানান, কাতারের প্রতি সমর্থনের উৎসাহ পেয়েছি আমাদের গ্রামের কাতার প্রবাসীদের কাছ থেকে। অনেকেই ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা সমর্থন করেন। আয়োজক দেশ হিসেবে আমরা কাতারকে সমর্থন করি। যে কারণে আমাদের গ্রামের বিভিন্ন অংশ কাতারের ব্যানার ও তোরণে সাজানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক কাতার প্রবাসী। আমি নিজেও ১০ বছর কাতারে চাকরি করি। বিশ্বকাপের এক মাসের আসর বসেছে কাতারে। কাতার যেহেতু আয়োজক দেশ এবং আমরা কাতার প্রবাসী, সে কারণে কাতার সমর্থন করছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রবাসীরা চাই, আমাদের এ ক্ষুদ্র আয়োজন প্রচার হোক। কোনোভাবে এটি কাতারের নাগরিকদের নজরে আসুক। আর এ ভালোবাসা থেকে যদি বাংলাদেশ-কাতারের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়, তা আমাদের জন্য একটি ভালো দিক।

চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জোবায়েদ কবির বাহাদুর বাংলানিউজকে বলেন, মূলত আয়োজক জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কাতার দূতাবাসের সম্পর্ক খুবই ভালো। যে কারণে তিনি নিজ এলাকায় এ সুন্দর আয়োজনটি করেছেন। আমাকে তার আয়োজনের সঙ্গে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই গ্রামের কয়েকজন যুবক কাতার প্রাবাসী।

তিনি আরও বলেন, জাহিদুল ইসলাম আয়োজনের বিষয়ে সব সময়ই যোগাযোগ রক্ষা করেন। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তাদের এ আয়োজন অবশ্যই কাতার দূতাবাস ও কাতারের নাগরিকদের নজরে আসবে। এতে বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের একটি ভিন্নরকম দৃষ্টি থাকবে। আমি মনে করি, নিজের দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখে সবই করা সম্ভব। তবে আগে হচ্ছে নিজ মাতৃভূমি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।