ঢাকা: সচেতনতার অভাবে দগ্ধ রোগী বাড়ছে। তাই গ্যাসের লিকেজ থেকে দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
দেশজুড়ে আগুনে দগ্ধ এই রোগীদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার ঢাকার বাইরের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট স্থাপন করছে।
আগুনে দগ্ধ অনেক রোগী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ ধরনের বার্ন ইউনিটে যথাসময়ে ভর্তি হতে পারে না। এ কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াসহ অনেকের অঙ্গহানি ঘটে। এতে দগ্ধ রোগীকে শারীরিক সমস্যা জীবনভর বয়ে বেড়াতে হয়।
এ ছাড়া দগ্ধ রোগীর ক্ষেত্রে এমনও হয় যে টানা দুই বছর চিকিৎসা নিতে হয়। টিম-ওয়ার্কভিত্তিক চিকিৎসা লাগে। ফলে রোগী কমানোর ওপর জোর দিতে হবে।
দগ্ধদের বড় একটি অংশ গ্যাস লিকেজ থেকে দগ্ধ হওয়া রোগী। এ ক্ষেত্রে যাঁরা গ্যাসের লাইনের সংযোগ দেন, বাড়িওয়ালা এবং বাড়িতে যাঁরা থাকেন, তাঁরা এটা কখনো মনিটর কিংবা তদারকি করে কি না সন্দেহ। তদারকি করে গ্যাসের লাইন কেন লিকেজ হয়, তা যদি খুঁজে বের না করা যায়, তাহলে এই মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হবে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। যেখানে সরকার, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বাড়িওয়ালা, রাজনৈতিক, চিকিৎসক, গণমাধ্যমকর্মী- প্রত্যেকের যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়া উচিত।
সব দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার জন্য বর্তমানের ঢাকার বাইরের মেডিক্যালগুলোতে খুব ভালো মানের বড় বার্ন ইউনিট কখনো বানানো যায়নি। তবে এ কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছেন। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ দেশের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ ওয়ার্ডের বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই পাঁচটি বড় বার্ন ইউনিট চালু হয়ে গেলে দগ্ধদের চিকিৎসায় কোনো সংকট না হয়ে বরং সহজ হবে।
দগ্ধদের চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা ও প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে। এর অংশ হিসেবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রচারণা চালানো হবে। যদি গণমাধ্যমে প্রচার হয়, তাহলে সচেতনতার জায়গাটা বাড়বে। এ জন্য ভাড়াটিয়া এবং যিনি ভাড়া দিয়েছেন, দুজনেরই দায়িত্ব এ ব্যাপারে দায়িত্ববান হওয়া। গ্যাসের লাইন ঠিক আছে কি না, পাইপ লিকেজ হচ্ছে কি না- সেটা মেরামত করার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। কোথাও অবৈধ কানেকশন রয়েছে কি না, সেটাও সবার খেয়াল রাখা জরুরি।
লেখক: সমন্বয়কারী, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এনএস