ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

ফিরে পেয়েছি ‘জয় বাংলা’

লিয়াকত হোসেন খোকন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৩
ফিরে পেয়েছি ‘জয় বাংলা’

প্রজন্ম চত্বর থেকে স্লোগান উঠেছে- ‘জয় বাংলা’, তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি।

এই স্লোগানগুলো আমাকে ফিরিয়ে নেয় ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের উত্তাল দিনগুলোতে।

তখন আমি পিরোজপুর কলেজের ছাত্র। রক্তের পতাকা, স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে এই স্লোগানগুলো দিয়ে রাজপথ সরব করেছিলাম।

দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার থেকে এসব স্লোগান প্রচার করতে দেয়নি তৎকালীন সামরিক শাসকরা। শুধু কী তাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটিও তারা প্রচার করতে দেয়নি।

বাংলাদেশ বেতারকে ওরা করেছিল ‘রেডিও বাংলাদেশ’। জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করে ‘বাঙালি’ মুছে করল ‘বাংলাদেশি’। আর রাজাকারদের পুনর্বাসন করে বানাল মন্ত্রী।

কুখ্যাত রাজাকারদের দিল রাজনীতি করার অধিকার। সামরিক শাসনের সেই দিনগুলোতে কারফিউ আর ১৪৪ ধারা জারি করে ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নামতে দেয়া হয়নি। তবুও আমাদের অন্তরে ছিল ‘জয় বাংলা’ ‘বাঙালি’ আর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।

জিয়ার সামরিক শাসনামলে এবং তার পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন জয় বাংলা, বাঙালি প্রচার করা হয়নি জাতীয় প্রচার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে জাতির জনক, এটাও তারা স্বীকার করেনি। পাকিস্তানি কায়দায় তারা জিন্দাবাদ চালু করেছিল।

এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জানাই ধন্যবাদ। কেননা, প্রজন্ম চত্বর থেকে তারা আবার ফিরিয়ে দিয়েছে জয় বাংলা আর তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি স্লোগানগুলো।

তাই এই ৬০ বছর বয়সে যদি মরেও যাই তো দুঃখ কিসের! ফিরে তো পেয়েছি আবার ‘জয় বাংলা’।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৩১ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।