ঢাকা: সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্বকাপ চলার সময় ব্রাজিলে জার্সি রপ্তানি করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তুবা গ্রুপ। জার্সি রপ্তানি বাবদ তাদের আয় হয় বিপুল অংকের রাজস্ব।
তবে এ অর্জনের যারা কাণ্ডারি তারা পাননি কিছুই। তাদের ঈদের খুশি ধুয়ে গেছে কান্নার জলে। বেতন এবং ঈদ বোনাস কিছুই জোটেনি তাদের বরাতে।
ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতে যখন পুরো দেশ ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা তখন বেতন-বোনাসের দাবিতে আমরণ অনশনে নামতে বাধ্য হন তুবা গ্রুপের শ্রমিকরা। যে অনশন চলছে এখনও।
দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের মাধ্যমে যাদের বানানো পোশাক রপ্তানি করে স্ফীত হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ঈদের আগে বেতন ভাতার দাবিতে তাদের রাজপথে অনশনে নামতে হবে কেন?
বিশ্বকাপ সামনে রেখে জার্সি রপ্তানি করে ৪শ’ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছে তুবা গ্রুপ সহ দেশের অন্যান্য গার্মেন্টস মালিকরা। অথচ ঈদের সময় শ্রমিকদের সন্তানরা অনাহারে। বিষয়টি নিয়ে কারও যেন মাথা ব্যথা নেই, সবাই নিশ্চুপ।
এ পরিস্থিতিতে ঈদ মানে ধনী-গরিব, মালিক-শ্রমিক সবার এক কাতারে দাঁড়ানোর উপলক্ষ্য হলেও আমাদের দেশে ঈদ কারো আনন্দ আর কারো নিরানন্দের উপলক্ষ্য ছাড়া আর কিছুই নয়!
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৪