বিশ্বনেতাদের প্রতিটা মুহূর্তই খুব সিরিয়াস ও স্পর্শকাতর। সময়টাই যেন তাদের সব।
এক.
জি-৮ সম্মেলনের কনফারেন্স হল থেকে বেরিয়ে আসছেন ওবামা। সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে এক পা সামনে দিচ্ছেন, ঠিক এ সময় তিনি তার ডান বাহু আর কোমরটা কিছুটা বাঁকিয়ে মাথা নোয়ালেন। আর তাতেই আচমকা উদয় হল ফটোগ্রাফারদের বিরল লোভনীয় সেই সুযোগ। কারণ কি? কারণ মুহূর্তটা হল তার মাথা নোয়ানো আর একজন তরুণীর পিছু হয়ে উপরের দিকে ওঠার। তবে কি ওবামা সেই তরুণীর নিতম্ব দেখছেন? রসিকরা কিন্তু তাই বলছেন। তবে ভদ্র লোকেরা বলছেন, ওই তরুণী ঠিকমতো সিঁড়ির ধাপে পা ফেলছেন কিনা তাই দেখছেন, কারণ অন্যকিছু হয়ে গেলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু মুশকিলটা হয়ে গেল অন্য জায়গায়। পাশে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি খুব শান্তভাবে ঠোঁটে আঙুল রেখে আয়েশি ভঙ্গিতে ওবামার এই দৃশ্য দেখায় যত রহস্য সৃষ্টি হল! —রয়টার্স
দুই.
ভারতে কংগ্রেসের গত শাসনামলের প্রকাশ্য কোনো এক অনুষ্ঠান মঞ্চের এই দৃশ্য। কিন্তু ফটোগ্রাফারদের জন্য তাতে কি আছে? সোনিয়া গান্ধীর অনুগত সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পিছনে তার স্ত্রী। মনমোহন হাত জোড় করে বিনীত ভঙ্গিতে সোনিয়াকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। কিন্তু কোনো কারণে অন্যমনষ্ক হয়ে সোনিয়া তাকিয়ে আছেন অন্যদিকে। যেন তিনি মনমোহনকে অবজ্ঞা করছেন। ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার ভারতের গণমাধ্যমে চরম তোলপাড় পড়ে যায়। —বিসিসিএল
তিন.
প্রেসিডেন্ট হোন আর পুরোহিত হোন—তাতে কি, পুরুষ তো পুরুষই। অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য এ কথা একদম খাঁটি। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল সামনে। পিছনে আছেন পুতিন। মাঝখানে আরও কয়েকজন ভিড় সামলাচ্ছেন। জি-৮ সম্মেলনের সময় বাইরে এক নারী শরীরের উপরের অংশ বিবস্ত্র হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাতে কি। অর্ধনগ্ন এই নারীকে দেখে পুতিন একদম মাইন্ড করেন ন। । শুধু ফাঁক পেয়ে একনজর চোখ খুলে ঠোঁট গোল করে দেখে নিলেন! —এএফপি
চার.
পুতিন এখানেও বেশ সরস। তবে জাপানের শিনজু আবেও কম যান না। মার্কেলের পাশাপাশি হাঁটতে আবেরও মন চায়। কিন্তু তাতে সমস্যা হল পুতিন। পুতিন হাত দিয়ে আবেকে বাধা দিয়ে ঠেকিয়ে দিচ্ছেন। —রয়টার্স
পাঁচ.
এটি চলতি বছরের প্রথম দিকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আপ (আম আদমি পার্টি) ও বিজিপির মধ্যে উত্তেজনার চিত্র। আপ নেতা আশুতোষ এ সময় নিক্ষিপ্ত চেয়ার থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্রথম চেয়ারটি নিক্ষেপ করেছে কে। অন্তত এই দ্বিতীয় চেয়ারের ছবিটি বলছে নিক্ষিপ্ত প্রথম চেয়ারটি তিনিই ছুঁড়েছিলেন। —রয়টার্স
ছয়.
ওবামা আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মাঝখানে যিনি বেশ হাস্যোজ্জ্বল তিলি হলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং। গেল বছর নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হেলে থর্নিংয়ের গায়ে ঠেস দিয়ে আয়েশ করে সেলফি তুলছেন ওবামা। কিন্তু এ অবস্থা দেখে স্ত্রী মিশেল কি হাসতে পারেন? নিজের কষ্ট লুকাতে পারেননি। বেশ বিরক্ত মেজাজে কিঞ্চিত আলগা হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছেন মিশেল। —এএফপি
সাত.
২০০৬ সালে জার্মানি সফররত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এ সময় এক শিশুকে কোলে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শিশুটি যেইমাত্র কান্না শুরু করল এমন একটা মুখভঙ্গি করলেন বুশ, যেন তিনি খুব ভদ্র শিশুকাতর! আসলে তার এই মুখভঙ্গির কারণ হল চালাকি করে শিশুটিকে কোলে না নিয়ে দিয়ে দেয়া। —রয়টার্স
আট.
জি-৮ সম্মেলন চলাকালে অংশগ্রহণকারী হাঁটু অনাবৃতা এক নারী। হাত থেকে পড়ে যাওয়া কিছু একটা তুলে নিচ্ছিলেন। আর এ দৃশ্য দেখতেই হঠাৎ করে বিশ্বনেতারা অনেকটা রীতিমত চোখ ছানাবড়া করে রোমাঞ্চসহ তাকাতে শুরু করেন। এ অবস্থায় মুরুব্বি হিসেবে ওবামার তো কিছু একটা করা দরকার। তাই তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি আর ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকনিকে সামালতে চেষ্টা করছেন। —রয়টার্স
নয়.
কোনো কোনো মুহূর্ত আসলেই অদ্ভুত হয়ে ওঠে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এমনভাবে আঙুল তুললেন, আঙুলের ছায়া পড়ল একদম অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের নাকের নিচে। ছায়ার কালো রঙটাও বেশ গাঢ়। এতে মার্কেলের মূর্তি কিছুটা মুহূর্তের জন্য হয়ে ওঠে হিটলারের গোঁপের মতো। –গেটি ইমেজ
দশ.
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের কথা ছিল এই তুর্কি মোরগকে দয়া করা। কিন্ত এই তুর্কি এমনভাবে বুশের কোটের ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে দিয়েছেন, মনে হচ্ছে বুশকে নিয়ে ওর অন্য কোনো ষড়যন্ত্র আছে। –গেটি ইমেজ
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
-শাহাদাৎ তৈয়ব
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৪